একসময়ে জলদস্যুতার জন্য কালো তালিকাভুক্ত ছিলো বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দর। তবে কলঙ্ক এখন আর নেই। জলদস্যুতার ঝুঁকিমুক্ত বন্দর এটি। ২০২৩ সালে এশিয়ার সমুদ্রবন্দরগুলোর মধ্যে ১০০ টি জলদস্যুতার ঘটনা ঘটে। তার মধ্যে মাত্র একটি ঘটনা ঘটেছে চট্টগ্রাম বন্দরে। তাও জাহাজ কতৃপক্ষের অবহেলার কারণে।
এ বছর জানুয়ারিতে প্রকাশিত রিজিওনাল কো অপারেশন অন কমব্যাটিং পাইরেসি এন্ড আর্মস রবারি অ্যাগেইনস্ট শিপ ইন এশিয়া (রিক্যাপ) এর প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে ।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গেলো বছরে এশিয়া অঞ্চলের সমুদ্র বন্দর গুলোতে ১০০ টি জলদস্যুতার ঘটনা ঘটে। যেখানে ইন্দোনেশিয়া, মালাক্কা প্রণালি ও সিঙ্গাপুরের মত বন্দরগুলোতে জলদস্যুতার ঘটনা অনেক বেড়েছে। সিঙ্গাপুর ও মালাক্কা প্রণালিতে সব থেকে বেশি ৬৩ টি ঘটনা ঘটেছে। অথচ চট্টগ্রাম বন্দর এর থেকে কনটেইনার হ্যান্ডেলিং এবং সেবা প্রদান ও রাজস্ব আদায়ে অনেকাংশে এগিয়ে সিঙ্গাপুর বন্দর।
প্রতিবেদনে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দরের ঘটনাটি আছে ক্যাটাগরি ৩ অর্থাৎ কম গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হিসেবে।
জলদস্যুতা ঘটনার সংখ্যা বিশ্লেষণে দেখা যায়, সবচেয়ে বেশি ঘটনা ঘটছে মালাক্কা প্রণালি ও সিঙ্গাপুর বন্দরে ৬৩ টি।
এরপরে দেশ হিসেবে আছে ইন্দোনেশিয়া এখানে জলদস্যুতার ঘটনা ঘটেছে ১৬ টি।
ফিলিপাইনে জলদস্যুতার ঘটনা ঘটেছে ১০ টি।
তালিকায় ৫ টি ঘটনা ঘটেছে ভারতে।
ভিয়েতনামে ৩ টি ।
বাংলাদেশ ,মালয়শিয়া ও থাইল্যান্ড এসব দেশে সব থেকে কম একটি করে জলদস্যুতা হয়েছে।
চট্টগ্রাম বন্দরে সংগঠিত জলদস্যুতার বিষয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৩ সালের ২৪ মে বন্দরের ৩ নাম্বার ডলফিন জেটিতে থাকা ভারতীয় মালিকানাধীন জাহাজ এম টি সাকসেস এ ছয় জন অপরাধী লম্বা ধারালো ছুরিসহ (রাম দা) দস্যুতার উদ্দেশ্যে উঠে। এরপরে তারা জাহাজের লকার ভেঙে ১০ ক্যান রং চুরি করে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় জাহাজের কেউ আহত হননি।
পরে কোস্টগার্ড ঘটনায় চুরি হওয়া মালামাল উদ্ধার করে জাহাজের ক্যাপ্টেনের কাছে হস্তান্তর করে। তদন্তে জানা যায়, বিধি অনুযায়ী জাহাজ কর্তৃপক্ষ কোনো স্থানীয় নিরাপত্তা প্রহরী নিয়োগ দেয়নি। জাহাজের নিরাপত্তা ব্যবস্থাও নাজুক ছিল।
প্রসঙ্গত, চট্টগ্রাম বন্দর আগের থেকে নিরাপদ হওয়ায় বেড়েছে বিদেশি জাহাজ চলাচল। ফলে বাড়তি রাজস্ব আদায়ের পাশাপাশি কমেছে কনটেইনার পরিবহণ ব্যয়।