কুয়াশার সাথে হিম শীতল বাতাসে আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রায় কাপছে উত্তরের জেলা পঞ্চগড়। কনকনে হাঁড়কাপানো তীব্র ঠান্ডা অব্যাহত রয়েছে।
শুক্রবার (১৯ জানুয়ারী) পঞ্চগড়ে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৭ ডিগ্রী সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের পর্যবেক্ষক রোকনুজ্জামান রোকন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
যদিও ১০ দিন পর শুক্রবার দুপুরে কিছুক্ষণের জন্য সুর্যের দেখা মিলেছে। তবে তেমন উত্তাপ ছড়ায়নি। রাভভর বৃষ্টির মতো ঝরছে কুয়াশা। বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। তাপমাত্রার পারদ ৮ থেকে ১০ ডিগ্রী সেলসিয়াসের মধ্যে উঠানামা করছে। দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ১৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস এর উর্দ্ধে উঠছে না।
এদিকে প্রচণ্ড শীতে কাবু হয়ে পড়েছে জনজীবন। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছে না সাধারণ মানুষ। শীতের সকালে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে ছিন্নমূল আর গ্রামীণ মানুষ। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন খেটে খাওয়া শ্রমজীবীরা।
কুয়াশায় শীতকালীন ফসল বিশেষ করে আলু,সরিষা,বীজ তলায় বোরো চারা ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ফসল রক্ষায় কৃষি বিভাগ কৃষকদের পরামর্শ প্রদান করছেন।
এদিকে এই শীতে বয়স্ক ও শিশুদের বেশী কষ্ট হচ্ছে। তীব্র শীতে জ্বর সর্দি, শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়া সহ নানা শীত রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন তারা। জেলার হাসপাতাল গুলোতে গড়ে প্রায় এক হাজারের বেশি মানুষ বর্হিবিভাগে শীত জনিত নানা রোগের চিকিৎসা নিচ্ছেন। এছাড়া গড়ে অন্তত ৩ শতাধিক রোগী হাসপাতাল গুলোতে ভর্তি হচ্ছেন শীতবাহিত রোগে।
জেলা আধুনিক সদর হাসপাতালের চিকিৎসক মাহবুব উল আলম বলেন, এই শীতে বয়স্ক ও শিশুদের বাড়তি যত্ন নিতে হবে। বাসি খাবার খাওয়াা যাবেনা। সব সময় গরম খাবার খেতে হবে। এছাড়া শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হলেই চিকিৎসকের শরনাপন্ন হতে হবে।
এদিকে জেলার বিভিন্ন হাট-বাজার গুলোতে গরম কাপড়ের দোকান গুলোতে বেচা কেনা বেড়েছে। বিশেষ করে ফুতপাতের দোকান গুলোতে গ্রহক বেড়েছে। সাধারণ মানুষ সামর্থ অনুযায়ী শীত নিবারনে নিজের ও পরিবারের জন্য গরম কাপড় কিনছেন।