নতুন মৌসুমের আগমন মানেই নতুন অসুখ-বিসুখ হাজির হওয়া। তবে গ্রীষ্ম, বর্ষার চেয়ে শীতকালে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়ে বাচ্চারা। বিশেষ করে খুদের বয়স পাঁচ বছরের নীচে হলে তার প্রতি বাড়তি খেয়াল রাখা জরুরি। কারণ খুদেরা সব সময় মুখ ফুটে নিজেদের সমস্যার কথা বলতে পারে না। সে ক্ষেত্রে আগে থেকে সতর্ক থাকতে হবে বাবা-মায়েদের।একটু সাবধানতা অবলম্বন করলেই শারীরিক অসুস্থতা থেকে দূরে সরিয়ে রাখা যাবে শিশুদের।
মৌসুম বদলালে অনেক সময়ই খুসখুসে কাশি, হাঁচিতে ভোগে বাচ্চারা। এ রকম হলে কখনই বাচ্চাকে আগে ভাগে অ্যান্টিবায়োটিক খাইয়ে দেবেন না। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় এসবের কারণ আসলে ভাইরাল সংক্রমণ। সে ক্ষেত্রে অ্যান্টিবায়োটিকে কোনও কাজই হয় না। বরং হিতে বিপরীত হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। অকারণ অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ানোর ফলে শরীরে অন্য সমস্যা দেখা দেয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়। চিকিৎসক না বললে নিজে থেকে কখনওই অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়াবেন না শিশুকে।
এ সময় বাচ্চারা প্রায়ই শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণে ভোগে। খেয়াল করে দেখতে হবে ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে নিশ্বাস নেওয়ার সময় সন্তান সাঁইসাঁই শব্দ করছে কি না? এ রকম হলেই অতিরিক্ত সতর্ক হোন। চিকিৎসককে জানান। যদি সম্ভব হয় বাড়িতে হিটার রাখুন। না হলে কী ভাবে খুদের শরীর গরম রাখা যায়, সে বিষয়ে ভাবনাচিন্তা করুন।
এ সময় বাচ্চাদের একদম ঠান্ডা লাগতে দেবেন না। যতটা সম্ভব তাদের গরম জামাকাপড় পরিয়ে রাখুন। অনেক সময় মনে হবে, ঠিক শীত শীত করছে না। কিন্তু নিজেকে দিয়ে কখনই বাচ্চাদের বিচার করবেন না। বাচ্চারা আসলে অনেক বেশি সংবেদনশীল, তাদের ঠান্ডা লাগার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে। তাই এখন থেকেই, বিশেষ করে রাতের বেলা খুদেদের গরম পোশাকে ঢেকে রাখুন।
এ সম্পর্কিত আরও পড়ুনশীত | মানেই | শিশুর | দরকার | কিছু | বাড়তি | সর্তকতা