দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর সাথে দেশটির জাতিগত সংখ্যালঘু বিদ্রোহীদের সংঘর্ষ ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। দেশটির কয়েকটি অঞ্চলে বিদ্রোহীদের সঙ্গে চলছে সামরিক বাহিনীর এই সংঘাত। আর সশস্ত্র জাতিগত গোষ্ঠীর সাথে সংঘর্ষের মধ্যেই গেলো সপ্তাহে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মিজোরামে পালিয়ে যান মিয়ানমারের ২৭৬ জন সৈন্য। বিদ্রোহীদের সঙ্গে সীমান্ত এলাকায় সংঘর্ষের পর তারা ভারতে প্রবেশ করে আশ্রয় নেন এনডিটিভি বলছে, ভারত সোমবার কমপক্ষে ১৮৪ মিয়ানমারের সেনাকে তাদের দেশে ফেরত পাঠিয়েছে। আসাম রাইফেলসের একটি বিবৃতিতে নিশ্চিত করা হয়েছে, গেলো সপ্তাহে মোট ২৭৬ জন মিয়ানমারের সৈন্য মিজোরামে প্রবেশ করেছিল এবং সোমবার তাদের মধ্যে ১৮৪ জনকে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়েছে। এর আগে গেলো বুধবার বিকেলে মিয়ানমারের ২৭৬ জন সৈন্য তাদের অস্ত্র ও গোলাবারুদ নিয়ে মিজোরাম-মিয়ানমার-বাংলাদেশ সীমান্ত ট্রাইজেকশনের বান্দুকবাঙ্গা গ্রামে পৌঁছায় এবং সহায়তার জন্য আসাম রাইফেলসের কাছে যায়। পশ্চিম মিয়ানমারের রাখাইনে জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির (এএ) যোদ্ধারা সেনাবাহিনীর শিবিরগুলো দখল করার পরে সেনা সদস্যরা ভারতে আশ্রয় নেয়। পরে এসব সৈন্যদের আসাম রাইফেলস ক্যাম্পে আশ্রয় দেয়া হয়। সংবাদমাধ্যমটি বলছে, পালিয়ে আসা মিয়ানমারের সৈন্যদের পারভাতে আসাম রাইফেলস ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয় এবং পরে তত্ত্বাবধানের জন্য লুংলেইতে স্থানান্তরিত করা হয়। পরে আইজলের কাছে অবস্থিত লেংপুই বিমানবন্দর থেকে মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশের সিট্যুয়েতে মিয়ানমারের বিমান বাহিনীর বিমানে করে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু করা হয়। আসাম রাইফেলসের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, গত সপ্তাহে প্রবেশ করা সেনাদের মধ্যে বাকি ৯২ জন সৈন্যকে আজ প্রত্যাবাসন করা হবে। পুরো দলটির নেতৃত্বে একজন কর্নেল এবং ৩৬ জন অফিসার এবং ২৪০ জন নিম্ন-পদস্থ সেনাসদস্য রয়েছে।#WATCH | Mizoram: Six people were injured after a plane from the Burmese Army crashed at Lengpui airport. 14 people were on board with the pilot. The injured were admitted to Lengpui Hospital: Mizoram DGP pic.twitter.com/aVscbDDoY4
— ANI (@ANI) January 23, 2024