ঢাকা টেস্টের প্রথম দিন থেকেই একটাই লক্ষ্য ছিলো বাংলাদেশের। সিরিজ জেতা। কারণ চট্টগ্রামে প্রথম টেস্ট ড্রয়ের পর ঢাকায় সিরিজ জয়ের ভালো সুযোগ স্বাগতিকদের।
গেলো সোমবার (২৩ মে) টেস্টের প্রথম দিনের টস জয় ছিলো দারুণ মুহুর্ত। কিন্তু বেলা গড়ানোর সাথে সাথেই তা বিষাদে রূপ নেয়। ২৪ রানের নেই ৫ ব্যাটার। তার মধ্যে তামিম-জয়-সাকিব ফেরেন শূণ্যতে। মুমিনুল ৯ রান আর শান্ত করেন আট রান। ধ্বংসস্তূপের মধ্যে দাঁড়িয়ে মুশফিক-লিটনের উইলো পরিনত হয়েছে ধৈর্য্যের প্রতীক হিসেবে। দুই জনেই তুলে নেন ব্যক্তিগত শতক।
যেখান থেকে প্রথম দিন পাড় করে দ্বিতীয় দিন (মঙ্গলবার) মুশি-লিটনের হারা না মানা শতক। ক্যারিয়ারের তৃতীয় শতক করা লিটন থামেন ১৪১ রান করে। তবে অপরপ্রান্তে থাকা মুশি, নিজের নবম সেঞ্চুরি তুলে এগুতে থাকেন দৃঢ়তার সাথে।
কিন্তু যোগ্য সতীর্থ না থাকায় ১৭৫ রানে অপরাজিত থাকতে হয় তাকে। দুই বছর পর টেস্টে ফিরেই শূণ্যতে সাজঘরে ফেরেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। তাতে প্রথম ইনিংসে ৩৬৫ রান করে টাইগাররা।
জবাবে দ্বিতীয় দিন শেষে প্রথম ইনিংসে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ছিলো ২ উইকেট হারিয়ে ১৪৩ রান। দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে পেসারদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্নের জবাবে লিটন বলেছেন, ‘সত্যি কথা বলতে পেসারদের জন্য গতকালও হেল্প ছিল আজকেও ছিল। আমি মনে করি না স্পিনারদের জন্য খুব একটা হেল্প ছিল। তারপরও যথেষ্ট ভালো বোলিং করেছে আমাদের স্পিনাররা। আমার মনে হয় আমাদের যে দুজন ফ্রন্ট লাইনে বোলার আছেন তাদের দায়িত্বশীল হতে হবে।’
হাসিব মোহাম্মদ