আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

মোবাইল ফোন ব্যবহার করায় পরীক্ষার্থী ও শিক্ষক কারাগারে

মোবাইল ফোন ব্যবহার করায় পরীক্ষার্থী ও শিক্ষক কারাগারে
পঞ্চগড়ে জেলা প্রশাসনের তৃতীয় শ্রেনী কর্মচারি নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা কেন্দ্রে মোবাইল ফোন ব্যবহার করায় পরিক্ষার্থী ও শিক্ষকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে পঞ্চগড় সদর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। গেলো মঙ্গলবার (৩১ মে)  রাতে পঞ্চগড় কালেক্টরেট আদর্শ শিক্ষা নিকেতনের সহকারী শিক্ষক রাকিবুল হাসান ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দুইজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। আজ বুধবার (১ জুন) দুপুরে অভিয্ক্তুদের  আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়। অভিযুক্তরা হলেন জেলার বোদা উপজেলার পরীক্ষার্থী ওয়ালিউল্লাহ (৩০) এবং উপজেলার ধরধরা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শষী ভূষন (৪৫)।  মামলার পরপরই পরীক্ষার্থী ও শিক্ষককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। মামলার এজাহার সুত্রে জানা যায় গেলো (২৮ মে) পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের অধীনে কয়েকটি পদের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। সহকারী শিক্ষক রাকিবুল হাসান পঞ্চগড় বিষ্ণু প্রসাদ সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের একটি ভবনের তৃতীয় তলার তিন নম্বর কক্ষে পরিদর্শকের দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন। পরীক্ষা শুরু হওয়ার  এক ঘন্টা পর  পরীক্ষার্থী ওয়ালিউল্লাহ মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে শুরু করেন । মোবাইল ফোন থেকে উত্তর বের করে খাতায় লিখতে শুরু করেন পরীক্ষার্থী ওয়ালিউল্লাহ । তাৎক্ষনিক তার কাছ থেকে মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। এ সময় কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা ম্যাজিস্ট্রেটকে মোবাইল ফোন ও খাতা হস্তান্তর করা হয় । ওই পরীক্ষার্থীকে কেন্দ্র সচিব ও ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কক্ষে নিয়ে যাওয়া হয়। এদিকে মোবাইল ফোন যাচাই বাছাই করে দেখা যায় ওয়ালিউল্লাহর মোবাইল ফোন থেকে প্রশ্ন আদান প্রদান করা হয়, এক শিক্ষকের সাথে । এ  সময় তার পরীক্ষা বাতিল করা হয়। পরে প্রধান শিক্ষককে ফাঁকি দিয়ে কৌশলে ওয়ালিউল্লাহ কেন্দ্র থেকে পালিয়ে যায়। মামলার বাদী রাকিবুল জানান. ঘটনার তিনদিন পর গত মঙ্গলবার পঞ্চগড়ের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) দ্বীপঙ্কর রায়ের কাছে  কল আসে ওই পরীক্ষার্থী ওয়ালিউল্লাহ’র । মোবাইল ফোন ফেরত দিতে অনুরোধ করেন এসময় দীপঙ্কর রায় তাকে স্ব শরীরে দেখা করে মোবাইল ফোন ফেরত নিতে  বলেন । ওয়ালিউল্লাহ মোবাইল ফোন ফেরত নিতে আসেন বুধবার সন্ধ্যায়। পরে আমাকে কেন্দ্র সচিব জোবায়ের ইসলাম বাদল আমাকে মুঠোফোনে এডিসি রেভিনিউয়ের কার্যালয়ে আসতে বলেন । আমি গিয়ে দেখি আভিযুক্ত শিক্ষক ও পরীক্ষার্থী সেখানে উপস্থিত। পরে দীপঙ্কর রায় বিষয়টি সমাধানের জন্য  রাকিবুল কে মামলা করার পরামর্শ দেন। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) দ্বীপঙ্কর রায়ের পরামর্শে বুধবার গভীর রাতে পঞ্চগড় সদর থানায় দুইজনকে অভিযুক্ত করে মামলা দায়ের করা হয়। নিয়োগ পরীক্ষা কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা পঞ্চগড় বিষ্ণু প্রসাদ সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জোবায়ের ইসলাম বাদল জানান. ঘটনার দিন নিয়োগ পরীক্ষা নিয়ন্ত্রন করেছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজস্ব দীপঙ্কর রায়,  ম্যাজিস্ট্রেটসহ জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পঞ্চগড় সদর থানার উপ পরিদর্শক শামসুজ্জোহা জানান. আসামীদের বুধবার আদালতে সোপর্দ করা হলে আদালত তাদের জেল হাজতে প্রেরন করেন। পঞ্চগড় সদর থানার ওসি আব্দুল লতিফ মিঞা জানান ডিজিটাল ডিভাইসে প্রশ্নপত্র আদান প্রদানের ঘটনার কারনে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ে করা হয়েছে।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন মোবাইল | ফোন | ব্যবহার | করায় | পরীক্ষার্থী | ও | শিক্ষক | কারাগারে