মিয়ানমারের যা ঘটছে সেটি তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। তবে তাদের অভ্যন্তরীণ সংকট যেন আমাদের শঙ্কার কারণ না হয়। এ বিষয়ে চীন এবং ভারতের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। বলেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে আমরা তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেব? আরাকান আর্মিরা তাদের দেশেরই সমস্যা। তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে তারা দেখবে। তবে তাদের সমস্যার জন্য আমাদের এখানে কোনো শঙ্কা বা উদ্বেগ সৃষ্টি করুক, সেটা আমরা চাই না। এ বিষয়ে আমরা সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বিশেষ করে চীন এবং ভারতের সঙ্গে কথা বলছি। আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভারতে গেছেন, সেখানেও অবশ্যই বিষয়টি উঠবে।
তিনি বলেন, সংঘাত চলাকালে মিয়ানমার থেকে যারা পালিয়ে বাংলাদেশে এসেছে। তাদের ফেরত পাঠানো হবে। এ বিষয়ে দেশটির রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনি বলেছেন, তারা তাদের লোকজনকে ফেরত নিয়ে যাবেন।
সেতুমন্ত্রী বলেন, আমরা পদ্মা সেতু, মেট্রোরেলসহ অনেক ফ্লাইওভার, ব্রিজ ও রাস্তা করেছি। কিন্তু এগুলো যতই করি আমাদের সড়কে যদি নিরাপত্তা না থাকে। যদি পরিবহন এবং রাস্তায় শৃঙ্খলা না থাকে, তাহলে এসব প্রকল্পগুলোর সুফল দেশের মানুষ পাবে না।
তিনি বলেন, রোড সেফটিতে দুর্নীতি কিছু নেই। এখানে বাজেটও খুব বেশি না। তারপরও যেহেতু জনগণের টাকা, তাই এখানে যদি কোনো দুর্নীতি হয় অবশ্যই আমরা এ ব্যাপারে কঠোর ব্যবস্থা নেব।
এ সময় বিএনপির সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আন্দোলনে ব্যর্থ হওয়া, নির্বাচনে অংশ না নেয়ায় বিএনপির মধ্যে চরম হতাশা কাজ করছে। এখন হতাশা কাটানোর জন্য তারা নানান কথা বলছে। কারণ, সরকারের বিরোধিতার জন্য কিছু না কিছু তো তাদের বলতে হবে। আর বললে, সরকারের খারাপই বলতে হবে। এমনকি সরকারের ভালো কাজকেও খারাপ বলতে হবে। কারণ, তারা এখন কোনো কিছুই ভালো চোখে দেখছে না। তারা হতাশার মধ্যে আছে। হতাশা থেকেই তাদের নানান আবোল-তাবোল উক্তি আসে।