ফেব্রুয়ারি মাসের ৯ তারিখটি ভ্যালেন্টাইন সপ্তাহের অংশ হিসেবে পালিত হয়। ‘চকলেট ডে’ দিনটিতে চকলেটের মাধ্যমে ভালোবাসা প্রকাশ করা হয়। মানুষ তাদের প্রিয়জনদের চকলেট উপহার দিয়ে ভালোবাসা, বন্ধুত্বের মিষ্টি বার্তা জানায়। চকলেটের ইতিহাস বেশ দীর্ঘ। চকলেট ব্যবহারের প্রচলন মায়া ও আজটেক সভ্যতা, প্রাচীন মেসো-আমেরিকান সভ্যতা থেকে শুরু হয়।
প্রাচীন উৎস : চকলেটের গল্প শুরু হয় মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকায়, যেখানে কাকাও গাছ প্রাকৃতিকভাবে জন্মাত। মায়া ও আজটেকরা কোকো বীজকে বিশেষ পানীয় তৈরিতে ব্যবহার করত।
ইউরোপীয় পরিচিতি: যখন স্প্যানিশ অভিযাত্রীরা ১৬শ শতাব্দীতে আমেরিকায় গিয়ে চকলেটের সঙ্গে পরিচিত হলেন, তখন তারা এটিকে ইউরোপে নিয়ে আসেন। প্রথমে, এটি শুধু অভিজাত শ্রেণির মানুষরাই উপভোগ করত, কিন্তু এর জনপ্রিয়তা দ্রুত বাড়তে থাকে।
ঈশ্বরের খাবার: কোকো গাছের বৈজ্ঞানিক নাম, থিওব্রোমা কোকো, গ্রিক এই শব্দের অর্থ ‘ঈশ্বরের খাবার’। এই নামকরণ থেকে স্পষ্ট ১৬০০ শতাব্দীতেও চকলেট ছিল মানুষের অন্যতম প্রিয় খাবার।
চকলেটে কোকোর পরিমাণ কেবলমাত্র স্বাদ নয়, স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রেও অত্যন্ত উপযোগী। উচ্চ কোকো সামগ্রীযুক্ত কালো চকলেটে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বেশি থাকে, যা হৃদযন্ত্রের উন্নতিতে সাহায্য করে। কোকো বীজকে একাধিক পদ্ধতির মাধ্যমে চকলেটের রূপান্তরিত করা হয়। এই জটিল প্রক্রিয়ার ফলে প্রক্রিয়াজাত চকলেটের স্বাদ আমাদের মুগ্ধ করে।
সাংস্কৃতিক প্রতীক: চকলেট এখন বিশ্বজুড়ে বিলাসিতা ও উদযাপনের একটি প্রতীক হয়ে উঠেছে। ভালোবাসা দিবস থেকে শুরু করে বিশেষ বিশেষ দিনে এটি উপহার দেয়াই এখন ট্রেন্ড।
চকলেটের শৈল্পিক দিক: নিত্য-নতুন চকলেট বানানো শিল্পী এবং শেফদের দারুণ ভাবে অনুপ্রাণিত করেছে। চকলেট ব্যবহার করে শৈল্পিক চকলেট বার থেকে ডেজার্ট, বহু কিছু বানানোরই চল দেখা যায় আজকাল।