রাজশাহীতে নারীর ফাঁদ পেতে ব্যবসায়ীকে অপহরণ এবং প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে চাঁদা আদায়ের অভিযোগে প্রতারক চক্রের ৫ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে রাজশাহী মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
আজ শনিবার (৪ জুন) দুপুরে নগর পুলিশের মুখপাত্র রফিকুল আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
গ্রেপ্তারকৃরা হলো,রাজশাহী নগরীর রাজপাড়া থানার ডিঙ্গাডোবা এলাকার মশিউর রহমানের ছেলে মনি (২৭), মৃত আতাহার আলীর ছেলে কবির হোসেন খিচ্চু (৩৩), আব্দুল মমিনের ছেলে মুন্না ও মুন্নার স্ত্রী হানিফা খাতুন (৩১) এবং কর্ণহার থানার ডাংগেরহাট এলাকার মৃত দুলালের স্ত্রী ফরিদা বেগম (৪০)।
এসময় গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে নগদ ১০ হাজার টাকা ও ৫টি মোবাইল ফোন উদ্ধার হয়।
শনিবার দুপুরে নগর পুলিশের মুখপাত্র রফিকুল আলম জানান, নগরীর ভাংড়ি ব্যবসায়ী সোহাগ আলীকে গত ২৬ মে সন্ধ্যা ৭ টায় অপরিচিত একটি নারী তাকে ফোন করে বলেন তার নাম হানিফা খাতুন, তার স্বামী ওষুধ কোম্পানীতে চাকুরি করে। তিনি পরিবার-সহ রাজপাড়া থানার ডিঙ্গাডোবা ব্যাংক কলোনী এলাকায় ভাড়া থাকেন। তার ভাড়া বাসায় ২-৩ টি নষ্ট ফ্যান, ১ টি পুরাতন সোফাসেট এবং অপ্রয়োজনীয় কিছু কাগজপত্র রয়েছে যা বিক্রি করা হবে। ওই ভাংড়ি ব্যবসায়ীকে সেই রাতেই তার বাড়িতে আসতে বলেন ওই নারী।
বাঙ্গী ব্যবসায়ী রাতে না গিয়ে দিনে যাবার কথা বললে, হানিফা তার স্বামীর সাথে পরের দিন সকালে বগুড়া জেলায় বদলী সূত্রে চলে যাবেন। সেজন্য তিনি মালামাল দেখে যেতে বলেন। সোহাগ হানিফার কথা বিশ্বাস করে তার দেয়া ঠিকানায় পৌঁছালে হানিফা সোহাগকে নিয়ে বাড়ির নিচ তলার একটি রুমে নিয়ে যায়। রুমে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গেই সোহাগকে জড়িয়ে ধরে এবং সেখানে পূর্ব থেকেই ওঁৎ পেতে থাকা প্রতারক চক্রের ৪ সদস্য রুমের মধ্যে প্রবেশ করে।
তারা হানিফার সাথে সোহাগের আপত্তিকর অবস্থায় ছবি তোলে। এরপর সোহাগকে চড়থাপ্পড়, হুমকী ও ফেসবুকে ছবি ছেড়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ৩ লক্ষ টাকা দাবি করে। পরে সোহাগের কাছ থেকে নগদ ৪ হাজার টাকা আদায় করে এবং রাতের মধ্যে আরো ৪০ হাজার টাকা দিতে বলে। বাসায় গিয়ে কোন উপায়ন্ত না পেয়ে সে ধার-দেনা করে তাদের ৩০ হাজার টাকা দেয়।
ডিবি পুলিশের পরামশ্যে সোহাগের মোবাইলে ফোন করলে সোহাগ বাকি টাকা কোথায় নিয়ে আসবে জানতে চায় ও নারীর কাছে। এসময় হানিফার ভাড়া বাসায় আসতে বলে সোহাগকে। ডিবি পুলিশ সোহাগকে সাথে নিয়ে শুক্রবার বিকেল সোয়া ৪ টায় রাজপাড়া থানার ডিঙ্গাডোবা এলাকার হানিফার ভাড়া বাসায় ওই প্রতারক চক্রের সদস্যদের গ্রেপ্তার করে। উদ্ধার করা হয় নগদ ১০ হাজার টাকা ও ৫ টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
