জাতীয় পার্টি এখন চরম বিপর্যয়ের মধ্যে পড়েছে। বলেছেন জাতীয় পার্টির (একাংশের) চেয়ারম্যান ও সাবেক বিরোধীদলীয় নেত্রী রওশন এরশাদ। তিনি বলেন, এই অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য এবং পার্টিকে আবার সুসংগঠিত করার লক্ষ্যে নেতা-কর্মীদের দাবির প্রেক্ষিতে আমি দলের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব গ্রহণ করেছি। এছাড়া আগামী ৯ মার্চ পার্টির দশম জাতীয় কাউন্সিল ঘোষণা দিয়েছি।
রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) গুলশানের নিজ বাসভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
রওশন এরশাদ বলেন, কাজী ফিরোজ রশীদ এবং সৈয়দ আবু হোসেন বাবলাসহ পার্টির প্রতিষ্ঠাকালীন নেতারা এবং এরশাদভক্ত সর্বস্তরের নেতাকর্মী আমার পাশে দাঁড়িয়েছেন। আমরা সবাই মিলে সুন্দর একটি জাতীয় সম্মেলন উপহার দিয়ে জাতীয় পার্টিতে আবার প্রাণ শক্তি ফিরিয়ে আনতে চাই। কারণ দেশ ও জাতির জন্য রাজনীতির অঙ্গনে জাতীয় পার্টির প্রয়োজনীয়তা এখন অপরিহার্য।
সাবেক বিরোধীদলীয় নেত্রী আরও বলেন, আমরা দেশে সুষ্ঠু গণতন্ত্র এবং অর্থনৈতিক ভীত শক্তিশালী করার জন্য সংগ্রাম করে যাচ্ছি। একটি রাজনৈতিক দলে গণতন্ত্র চর্চার প্রধান ক্ষেত্র হচ্ছে সময় মতো পার্টির জাতীয় সম্মেলন করা। জাতীয় পার্টির সম্মেলন আয়োজনের মেয়াদ অনেক আগেই শেষ হয়ে গেছে। এখন আমরা জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠানের যে ঘোষণা দিয়েছি সেই সম্মেলন সফলভাবে সম্পন্ন করার জন্য আমি একটি সম্মেলন বাস্তবায়ন কমিটি গঠন করেছি। সেই কমিটির সদস্যদের নাম আপনাদের সামনে ঘোষণা করছি।
তিনি বলেন, কাজী ফিরোজ রশীদ এবং সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা- জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান। তারা পার্টির জন্য জেল-জুলুম, অত্যাচার-নির্যাতন সহ্য করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, জাতীয় পার্টির সম্মেলন বাস্তবায়ন কমিটিতে আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন কাজী ফিরোজ রশীদ, কো-আহ্বায়ক থাকবেন সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, যুগ্ম-আহ্বায়ক থাকবেন গোলাম সরোয়ার মিলন, সদস্য সচিব থাকবেন সফিকুল ইসলাম সেন্টু এবং কোষাধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন অ্যাড জিয়াউল হক মৃধা। এছাড়া জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব, প্রেসিডিয়াম সদস্য, উপদেষ্টা, ভাইস চেয়ারম্যান, যুগ্ম-মহাসচিব, সম্পাদকমন্ডলী, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্যরা এবং জেলা কমিটির সভাপতি/আহ্বায়ক, সাধারণ সম্পাদক/সদস্য সচিব ক্রমানুসারে সম্মেলন বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত থাকবেন।