ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় পুরোপুরি যুদ্ধবিরতি কার্যকর দেখতে চায় হামাস। যুদ্ধবিরতি পূর্ণাঙ্গ কার্যকর না হলে ইসরায়েলের সঙ্গে বন্দি বিনিময়ের চুক্তিতে যাবে না। বন্দি বিনিময় প্রশ্নে এভাবে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করেছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস।
হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর সদস্য খলিল আল-হাইয়ার বরাত দিয়ে তুরষ্কের বহুল প্রচারিত আনাদোলু এজেন্সির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
আনাদোলুকে দেওয়া সাক্ষাতকারে খলিল আল-হাইয়া বলেন, ‘গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতির লক্ষ্যে হামাস তিনটি শর্ত দিয়েছে। শর্তগুলো হচ্ছে- প্রথমত, গাজা অঞ্চলের বাসিন্দার সব রকমের সহায়তা নিশ্চিতে ইসরায়েলি বাধার অবসান এবং বাসিন্দাদের স্বাভাবিক জীবন নিশ্চিত করা। দ্বিতীয়ত, ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা পুরোপুরি বন্ধ করা এবং তৃতীয়ত, তেল আবিবের কারাগারে আটক থাকা প্রায় ১০ হাজার বন্দি ফিলিস্তিনির মুক্তি নিশ্চিত করা।’ শুধুমাত্র এসব বিষয়ে একমত হলেই জিম্মি বিনিময় চুক্তিতে হামাস সম্মতি জানাতে পারে বলেও সংগঠনটির ওই নেতা জানান।
খলিল আল-হাইয়া আরও বলেন, ‘ইসরাইল গাজা থেকে তাদের সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ে অস্বিকৃতি জানিয়েছে এবং তারা কারাবন্দি ফিলিস্তিনিদের তাদের বাড়িতে ফিরতে দিতে নারাজ।
এর আগে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি হামাসের এই প্রস্তাবকে বিভ্রান্তিকর প্রস্তাব বলে আখ্যা দিয়েছিলেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
এদিকে, টাইমস অব ইসরায়েলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রমজান শুরুর আগে বন্দী ইসরাইলি জিম্মিদের মুক্তি না দিলে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গাজার নিরাপত্তার শেষ আশ্রয়স্থল রাফায় স্থল অভিযান শুরু করবে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরাইলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার সদস্য বেনি গান্তজ বলেন, ‘ রমজানের মধ্যে জিম্মি ব্যক্তিরা যদি নিজ বাসায় (ইসরাইল) না ফিরতে পারেন, তাহলে রাফাসহ গাজার সব জায়গায় লড়াই চলবে। হামাসের সামনে একটি পথ খোলা আছে। তারা আত্মসমর্পণ করতে পারে; জিম্মিদের মুক্তি দিতে পারে। তাহলে গাজার বেসামরিক মানুষ রমজানে রোজা পালন করতে পারবেন।