একটানা ফোন,কম্পিউটারের পর্দায় চোখ রেখে কাজ করলে বা সিরিজ় দেখলে প্রায়ই মাথার এক পাশ দপদপ করতে পারে। আবার অনেক সময়ে অতিরিক্ত মানসিক চাপ থেকেও মাথা যন্ত্রণা চাগাড় দিতে পারে। মাথাই যেহেতু সমস্ত কাজ পরিচালনা করে তাই সারাক্ষণ এমন অস্বস্তি নিয়ে কিছুতেই মন বসানো যায় না। মাথাব্যথার ওষুধ খেয়েও কষ্ট দূর করা যায় না? তাই ওষুধের বিকল্প হিসেবে কয়েকটি টোটকায় আস্থা রাখা যেতে পারে।
১. মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা
সব সময় যে আবহাওয়ার হেরফের বা মাইগ্রেন থেকেই মাথা যন্ত্রণা হয়, তা কিন্তু নয়। মানসিক চাপও কিন্তু মাথা যন্ত্রণার কারণ হতে পারে। এই সমস্যা বশে রাখতে নিয়মিত প্রাণায়াম, শরীরচর্চা, যোগাসন অভ্যাস করতে হবে।
২. পর্যাপ্ত পানি পান
মাথা ধরলে বা যন্ত্রণা করলে এক কাপ কুসুম গরম পানিপান করুন। অনেক সময়ে বদহজম থেকে মাথাব্যথা হয়ে থাকে। গরম পানি পানে সেই কষ্ট কমবে। তা ছাড়া, শরীরে পানির ঘাটতি হলেও মাথাব্যথা হতে পারে। পর্যাপ্ত পানি না খেলে শরীর ডিহাইড্রেটেড হয়ে পড়ে। ফলে মাথাব্যথা বাড়তে পারে।
৩. অ্যারোমাথেরাপি
মাথা যন্ত্রণার সময়ে উগ্র কোনও গন্ধ সহ্য করা যায় না। এতে অনেকেরই ব্যথার তীব্রতা বেড়ে যায়। আবার, এমন কিছু প্রাকৃতিক গন্ধ আছে যা শুঁকলে, প্রদাহজনিত কষ্ট কমে। স্নায়ুর আরাম হয়। পোশাকি ভাষায় এই চিকিৎসাকে সুগন্ধি চিকিৎসা বা অ্যারোমাথেরাপি বলে। পানি কয়েক ফোঁটা ল্যাভেন্ডার, ইউক্যালিপটাস, ল্যাং ল্যাং কিংবা পুদিনা অয়েল মিশিয়ে, সেই ঘ্রাণ নিলে অনেক ক্ষেত্রেই উপকার মেলে।
৪. আকুপ্রেশার
বেশ পুরনো এই পদ্ধতি কিন্তু মাথাব্যথার অব্যর্থ দাওয়াই। এটি এক ধরনের মাসাজ করার পদ্ধতি। বাঁ হাতের বুড়ো আঙুল এবং তর্জনীর মাঝের অংশে ডান হাতের বুড়ো আঙুল ও তর্জনী চেপে ধরুন। তার পর ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে জায়গাটি মাসাজ করুন। একই ভাবে বিপরীত হাতেও করুন। কিছুক্ষণেই কমবে মাথাব্যথা।
৫. ঠাণ্ডা সেঁক
মাথাব্যথার সময়ে প্রদাহ কমাতে দারুণ কাজ করে ঠান্ডা সেঁক। পরিষ্কার সুতির কাপড়ে বরফ জড়িয়ে নিতে পারেন। কিংবা সেঁক দেয়ার জেল ভর্তি পাউচ থাকলেও চলবে। তা দিয়ে মাথা ও ঘাড়ের চারপাশ চেপে চেপে সেঁক দিন। প্রদাহ কমবে। মিলবে আরাম।