দেশজুড়ে

খতনার সময় লিঙ্গ কেটে ফেললেন চিকিৎসক

খতনার সময় লিঙ্গ কেটে ফেললেন চিকিৎসক
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় খতনার সময় অতিরিক্ত মাংস কেটে ফেলায় তামিম (১২) নামে এক শিশু আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছে। খতনা করার সময় শিশুটির লিঙ্গের অতিরিক্ত কিছু অংশ কেটে ফেলেন চিকিৎসক জহিরুল ইসলাম জয়। অনুমোদন না থাকায় কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টার নামের ওই ক্লিনিক ১৫ দিন আগে সিলগালা করে দেয় প্রশাসন। বুধবার (৬ মার্চ) সন্ধ্যায় কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ঘটনাটি ঘটে।  এ ঘটনায় শিশুটির চাচা হারুন মিয়া খতনাকারী চিকিৎসক জহিরুল ইসলাম জয়, হাসপাতালের মালিক সুহুল আমিনসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছেন বলে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাসুক আলী। লিখিত অভিযোগে জানা যায়, বুধবার শিশুটিকে খতনা করার জন্য কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের নেয়া হয়। এ সময় মালিক সুহুল আমিন ও চিকিৎসক জহিরুল ইসলাম চৌধুরী সিলগালা করা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের তালা খুলে তামিমকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যান। খতনা করার সময় শিশুটির লিঙ্গের কিছু অংশ কেটে ফেলেন চিকিৎসক। এ সময় শিশুটির চিৎকার শুনে ভেতরে ঢোকেন তার বাবা ও মা। অভিযুক্ত চিকিৎসক তারা দেখেন শিশুটির দ্রুত রক্তক্ষরণ হচ্ছে। এমন অবস্থায় শিশু তামিমকে চড়-থাপ্পড় দিচ্ছেন চিকিৎসক ও মালিক। এ সময় প্রতিবাদ জানালে তামিমের বাবা ও মাকে মারধর করে বের করে দেন মালিক সুহুল আমিন ও চিকিৎসক জহিরুল ইসলাম চৌধুরী। এ সময় স্থানীয় এলাকাবাসীর মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। নবীগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহীন দেলোয়ার বলেন, সিলগালা প্রতিষ্ঠানে কীভাবে কার্যক্রম চলেছে, তা খতিয়ে দেখা হবে। নবীগঞ্জ উপজেলা টিএইচও ডা. আব্দুস ছামাদ বলেন, অনুমোদন না থাকায় কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টার সিলগালা করা হয়েছিল। বুধবার কারা এটি খুলেছে,সেটি তিনি জানেন না। খোঁজ করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। অভিযোগের ব্যাপারে কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক বলেন, খতনার সময় একটি দুর্ঘটনা ঘটেছে। তবে শিশুটিকে উন্নত চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।  সিলগালা প্রতিষ্ঠানে কী হচ্ছে, তা দেখবে সরকার। একটি মহল সাধারণ মানুষকে এনে হাসপাতাল ঘেরাও করে। তাদের কারণে অস্ত্রোপচারসহ কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটে। তামিমের মা পারভীন বেগম বলেন, তাঁর ছেলেকে ডাক্তাররা তাদের জিম্মায় সিলেট আল-হরামাইন হাসপাতালে ভর্তি করেছেন। তারা বলেছেন,তামিম ভালো হয়ে যাবে, চিন্তার কিছু নেই। চিকিৎসার সব খরচ তারা দেবে,শিশুর পরিবার যেন কাউকে কিছু না বলে। শিশুটির মা লুকিয়ে গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান বলেও এসময়ে তিনি উল্ল্যেখ করেন। উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে কোনো অনুমোদন ছাড়াই কেয়ার মেডিকেল সার্ভিসেস হাসপাতালটি চালু করা হয়।  

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন খতনার | সময় | লিঙ্গ | কেটে | ফেললেন | চিকিৎসক