অর্থনৈতিক অঞ্চল হিসেবে কুড়িগ্রামের এ জায়গাটি প্রাথমিকভাবে নির্ধারন করা হয়েছে। আমার বিশ্বাস এখানে অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠিত হলে বাংলাদেশের মানুষের কর্মসংস্থান ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি ভুটান উপকৃত হবে। আমাদের কার্যক্রম চলমান আছে। বললেন, বাংলাদেশে নিযুক্ত ভুটানের রাষ্ট্রদুত রিনচেন কুয়েনসিল।
রোববার (১০ মার্চ) দুপুরে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ভোগডাঙা ধরলার পাড় সৈয়দ ফজলুল করিম জামিয়া রহঃ ইসলামিয়া মাদ্রাসা পাশে প্রস্তাবিত অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শন শেষে এ কথা বলেন তিনি। এ সময়ে তাঁর সঙ্গে কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক সাইদুল আরীফ উপস্থিত ছিলেন।
জেলা প্রশাসক বলেন, জেলা প্রশাসন ১৩৩.৯২ একর জমি বেজার কাছে হস্তান্তর করেছে। আরো ৮৬ একর জমি অধিগ্রহণের প্রস্তাব আছে। জেলায় সোনাহাট স্থল বন্দর,তুরাগ স্থল বন্দর চিলমারী নৌবন্দর ও পাওয়ার স্টেশন কাছে থাকায় এটি মোটামুটি উপযুক্ত স্থান। সরকার আশা করছে এই অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠিত হলে শিক্ষা সংস্কৃতি ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন হবে।
স্থানীয় বাসিন্দা মোঃ আব্দুল আজিজ বলেন, কুড়িগ্রামে অর্থনৈতিক অঞ্চল দরিদ্র ও বেকার জনগোষ্ঠীর জন্য নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাইল ফলক হিসেবে কাজ করবে। তাদের দাবি দ্রুত এ অর্থনৈতিক অঞ্চলের কার্যক্রম শুরু হোক।
কুড়িগ্রামের সদর উপজেলার ভোগডাঙা ইউনিয়নে প্রস্তাবিত বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শনে দুদিনের সফরে এসেছেন ভুটানের রাষ্ট্রদূত রিনচেন কুয়েনসিল।
উল্লেখ্য, এসময় উপস্থিত ছিলেন বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন, ডিপার্টমেন্ট অব ইন্ডাস্ট্রি ভুটানের ডিজি চ্যামিটেসরিন, কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশ সুপারসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।