সারাদেশে ফেব্রুয়ারিতে ৫৮৩টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৫৪৪ জন নিহত হয়েছেন। এসব দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন ৮৬৭ জন। এর মধ্যে ১৮৭টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ২০৬ জন নিহত হয়েছেন। এ সময় চারটি নৌ-দুর্ঘটনায় ছয়জন নিহত এবং দুইজন আহত হয়েছেন। এছাড়া ৩৪টি রেলপথ দুর্ঘটনায় ২৮ জন নিহত এবং ৬৬ জন আহত হয়েছেন।
বুধবার (১৩ মার্চ) দুপুরে রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে পাঠানো ফেব্রুয়ারি মাসের সড়ক দুর্ঘটনার প্রতিবেদনে এসব তথ্য পাওয়া যায়। ৯টি জাতীয় দৈনিক, ৭টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল এবং ইলেকট্রনিক গণমাধ্যমের তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে কাজ করা সংস্থাটি।
সড়কে দুর্ঘটনার প্রধান কারণ হিসেবে সংগঠনটি চিহ্নিত করেছে- ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন; বেপরোয়া গতি; চালকদের বেপরোয়া মানসিকতা, অদক্ষতা ও শারীরিক-মানসিক অসুস্থতা; বেতন-কর্মঘণ্টা নির্দিষ্ট না থাকা; মহাসড়কে স্বল্পগতির যানবাহন চলাচল; তরুণ-যুবদের বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালানো; জনসাধারণের মধ্যে ট্রাফিক আইন না জানা ও না মানার প্রবণতা; দুর্বল ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা; বিআরটিএ’র সক্ষমতার ঘাটতি এবং গণপরিবহন খাতে চাঁদাবাজিকে।
সড়ক দুর্ঘটনা রোধে বেশ কিছু সুপারিশও করেছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন। দক্ষ চালক তৈরির উদ্যোগ বৃদ্ধি করা; চালকদের বেতন-কর্মঘণ্টা নির্দিষ্ট করা; বিআরটিএ’র সক্ষমতা বৃদ্ধি করা; পরিবহন মালিক-শ্রমিক, যাত্রী ও পথচারীদের প্রতি ট্রাফিক আইনের বাধাহীন প্রয়োগ নিশ্চিত করা; মহাসড়কে স্বল্পগতির যানবাহন বন্ধ করে এগুলোর জন্য আলাদা সার্ভিস রোড তৈরি করা; পর্যায়ক্রমে সব মহাসড়কে রোড ডিভাইডার নির্মাণ করা; গণপরিবহনে চাঁদাবাজি বন্ধ করা; রেল ও নৌ-পথ সংস্কার করে সড়ক পথের ওপর চাপ কমানো; টেকসই পরিবহন কৌশল প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করা এবং ‘সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮’ বাধাহীনভাবে বাস্তবায়নের সুপারিশ করেছে সংস্থাটি।