পদ্মা সেতুতে যান চলাচল শুরুর দিনে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন দুই যুবক। ওই সময় তাদের মোটরসাইকেলের গতি ছিল ঘণ্টায় প্রায় ১০৫ কিলোমিটার। তাদের একজন মোটরসাইকেল চালাচ্ছিলেন, অন্যজন পেছনে বসে ভিডিও করছিলেন। হঠাৎ মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রাকের সামনে পড়ে যায়।
এতে গুরুতর আহত হন চালক ও আরোহী। পরে তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে আনা হয়। রাত ১০টা ৩৫ মিনিটে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতরা হলেন মো. আলমগীর হোসেন (২২) ও মো. ফজলু (২১)। তারা ঢাকার দোহার-নবাবগঞ্জের বাসিন্দা।
জানা গেছে, তারা ছয়জন বন্ধু মিলে তিনটি মোটরসাইকেলে পদ্মা সেতু দেখতে এসেছিলেন। সেতুর জাজিরা প্রান্ত ঘুরে ফেরার সময় মাওয়া প্রান্তে দুর্ঘটনার শিকার হয় আলমগীর ও ফজলু।
আজ সোমবার (২৭ জুন) থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য পদ্মা সেতু মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ করেছে সরকার।
রোববার (২৬ জুন)এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সেতু বিভাগ।
রাতে তথ্য অধিদপ্তরের এক তথ্য বিবরণীতে সেতু বিভাগের এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।
২৫ জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে ওই দিন জনসাধারণের জন্য খোলে দেয়া হয়নি সেতু।
রোববার (২৬ জুন) ভোর থেকেই সব ধরনের যানবাহনের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে পদ্মা সেতু। এরপর থেকে অনেকেই বাইক ও প্রাইভেটকার নিয়ে সেতু পার হচ্ছেন। সেই সঙ্গে ট্রাক, বাসসহ বিভিন্ন ধরনের যান চলাচল করছে সেতু দিয়ে। তবে মোটরসাইকেলের উপস্থিতি দেখা গেছে সবচেয়ে বেশি।
সেতু ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রথমদিন দুপুর পর্যন্ত যেসব গাড়ি সেতু পার হয়েছে, তার মধ্যে ৬০ শতাংশ ছিল মোটরসাইকেল।
