ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে ছদ্মবেশে এক ডাকাতকে ধরে কাঁধে করে তুলে থানায় নিয়ে আসেন পুলিশ। পুলিশের কাছ থেকে ছাড়া পাওয়ার জন্য ডাকাত জীবন পুলিশকে কামড়ালেও হাল ছাড়েনি পুলিশ।
শুক্রবার (২২ মার্চ) সন্ধ্যার দিকে উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের একটি জমি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার হওয়া জীবন মিয়া (৫০) হরিপুর গ্রামের হুরন আলীর ছেলে। ওই ডাকাতের বিরুদ্ধে থানায় একাধিক ডাকাতি মামলা আছে। সম্প্রতি সে মাধবপুর-হরিপুর সড়কে ডাকাতি করতে শুরু করেছিল।
পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জীবনের অবস্থান সম্পর্কে জানতে পারে পুলিশ। ছদ্মবেশে সেখানে গিয়ে দেখেন জীবন তার সঙ্গীদের দিয়ে একটি জমিতে বসে ইয়াবা সেবন করছিলো। এ সময় পুলিশ সদস্যরা গিয়ে জীবন ও তার সঙ্গীদের কাছে ইফতার করার জন্য পানি চায়। তখনই জীবনকে আটক করে পড়ানো হয় হাতকড়া। এ সময় জীবন মিয়া পুলিশ কনস্টেবল রানার হাতে কামড় দিয়ে ধস্তাধস্তি করে হাতকড়া নিয়েই দৌঁড়ে পালায়। পুলিশ সদস্যও ছুটে গিয়ে আবার তাকে আটক করে। এক পর্যায়ে এএসআই মো. কামরুল তাকে ধরে কাঁধে তুলে নেন। কিছুদূর আনার পর তাকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে কড়া পুলিশ পাহারায় থানায় নিয়ে আসা হয়।
এ বিষয় এস.আই রূপন নাথ গণমাধ্যমে জানান, পাঁচজন মিলে এ অভিযান চালানো হয়। জীবন খুবই ধুর্ত। সে পালানোর চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে তাকে বাধ্য হয়ে কাঁধে তুলে নিয়ে আসা হয়। এ ঘটনায় রানা নামে পুলিশ কনস্টেবল আহত হওয়ার কথা তিনি স্বীকার করেন। গ্রেপ্তার জীবনকে আদালতে সোপর্দ করা হয়।
নাসিরনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সোহাগ রানা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, জীবন ডাকাত খুবই ধুর্ত প্রকৃতির। তাকে গ্রেপ্তার করা যাচ্ছিলো না। গোপন সংবাদে এ অভিযান চালানো হয়।
এএম/