চোখের সমস্যা ধরা পড়লে চশমার মর্ম হাড়ে হাড়ে টের পাওয়া যায়। স্কুলজীবন থেকে যে চাপ শুরু হয়, কর্মজীবনে প্রবেশ করার পর তা দশ গুণ হয়ে দাঁড়ায়। এই বাড়তি চাপ শুধু চোখের ‘পাওয়ার’ নয়, সঙ্গে গ্লকোমার মত জটিল রোগকেও ডেকে আনতে পারে। দীর্ঘ ক্ষণ কম্পিউটারে চোখ রেখে কাজ করা, সারা দিন ধরে সমাজমাধ্যমে ঘুরে বেড়ানো, অন্ধকারে ফোন ঘাঁটার কারণে ইদানীং ড্রাই আইজ, চোখ লাল হয়ে যাওয়া, জ্বালা করা, চোখের পেশি কিংবা অনবরত চোখ থেকে পানি পড়ার মতো সমস্যা রয়েছে ঘরে ঘরে। চোখ ভাল রাখতে নিয়মিত চশমা পরা, নির্দিষ্ট সময় অন্তর চোখের চিকিৎসা করানোর পাশাপাশি, রোজ পুষ্টিকর কিছু খাবার খাওয়াও জরুরি।
১) চোখের যত্নে অত্যন্ত কার্যকর গাজর। গাজরের বিটা-ক্যারোটিন বা ভিটামিন এ চোখের জন্য খুবই জরুরি। নিয়মিত গাজর খেলে চোখে সংক্রমণের আশঙ্কাও কমে। ভিটামিন এ চোখের মণির যত্ন নেয়।
২)চোখের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের জুড়ি মেলা ভার। শরীরের প্রয়োজনীয় ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড মেলে বিভিন্ন সামুদ্রিক মাছ থেকে। ভারতেও এখন পাওয়া যায় সার্ডিন, স্যামন কিংবা টুনা মাছ। এই ধরনের মাছের তেল চোখের জন্য খুবই উপকারী।
৩) ভিটামিন এ পাওয়া যায় ডিমেও। পাশাপাশি, ডিমে পাওয়া যায় জিঙ্ক ও লুটিন। জিঙ্ক চোখের সাদা অংশ ভাল রাখতে সাহায্য করে। বিশেষ করে ডিমের কুসুম রোজ খেলে ভাল থাকে চোখ।
৪) শুধু ভিটামিন এ থাকলেই তো হল না। চোখের স্বাস্থ্যের জন্য দরকার ভিটামিন সি। আর ভিটামিন সি-র সবচেয়ে ভাল উৎস লেবু। নিয়মিত মুসাম্বি কিংবা লেবু খেলে সেই প্রয়োজন মিটতে পারে।
৫) দুধ কিংবা দুগ্ধজাত যে কোনও খাবারই চোখের যত্নে কাজে লাগে। দুধ এবং দইয়েও রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন এ এবং জিঙ্ক। দু’টি উপাদানই চোখের যত্নে জরুরি। যাঁরা গরুর দুধ খেতে পারেন না, তাঁরা কাঠবাদাম থেকে পাওয়া দুধও খেতে পারেন। তাতেও ভাল থাকে চোখ।