স্বৈরশাসক আইয়ুব খানের ১৯৬২ সালের পাকিস্তানি অধ্যাদেশ বাতিল করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) পরিচালনা করার জন্য নতুন অধ্যাদেশ প্রণয়ন করতে হবে। অন্যথায় বুয়েট ঘেরাওসহ কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করবে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ।
শনিবার (৩০ মার্চ) গণতন্ত্র মঞ্চের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল ও সাধারণ সম্পাদক আল মামুনের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ ঘোষণা দেয়া হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বুয়েট শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ রাব্বীর হলের সিট বাতিলের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের পাশাপাশি বুয়েটে খুব শিঘ্রই কমিটি দেয়ার ব্যবস্থা করা হবে। এই কমিটির মাধ্যমে বুয়েটে আবার ছাত্ররাজনীতি ফিরিয়ে আনা হবে।
এসময় বিগত ২০২২ সালে বুয়েটে ছাত্রলীগের সাবেক নেতাদের আয়োজিত ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় উদ্দেশ্যেপ্রণোদিত ভাবে বাধা দিয়ে জাতির পিতার অবমাননাকারীদের বিচার দাবি করে সংগঠনটি।
সংগঠনটি দাবি করে, সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্মদের জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভর্তির ক্ষেত্রে ৫ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা বুয়েটে অনুসরণ করা হয় না। বারবার বলার পরেও বুয়েট প্রশাসন নীরব ভূমিকা পালনের মধ্যে দিয়ে তাদের প্রকৃত চরিত্র জাতির সামনে উন্মোচিত করেছে। আদতে এধরনের সিদ্ধান্ত দ্বারা বুয়েটে প্রতিক্রিয়াশীল জামায়াত-শিবির-জঙ্গিগোষ্ঠীর এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে।
প্রসঙ্গত, ২৭ মার্চ রাতে বুয়েট ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের কিছু নেতাকর্মী প্রবেশের প্রতিবাদে আন্দোলন করছে বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।