বয়সটা মাত্র ২১ বছর। গতির ঝড় দেখে অবশ্য তেমনটি মনে হয় না। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) খেলেছেন মাত্র দুইটি ম্যাচ। যে আত্মবিশ্বাস নিয়ে ছুটতে থাকেন, ব্যাটসম্যানকে কাবু করেন- তাতে মায়াঙ্ক যাদব এখন ‘টপ অব দ্য টাউন’ এ পরিণত হয়েছেন। এই ভারতীয় ফাস্ট বোলারের গতিতে পরাস্ত হয়ে ব্যাটারদের আত্মসমর্পন চোখে পড়ছে অহরহ।
লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসের হয়ে খেলছেন মায়াঙ্ক। দিল্লির তরুণ তিনি। আইপিএলে প্রথম ম্যাচ খেলেছেন পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে। অভিষেক ম্যাচে চলতি আইপিএলের সর্বোচ্চ গতি তুলেছেন তিনি। মঙ্গলবার রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে ম্যাচেও সেই ধারাবাহিকতা দেখা গেল। ভিরাট কোহলিদের বিপক্ষে ঘণ্টায় ১৫৬.৭ কিলোমিটার গতিতে বল করে আইপিএল ইতিহাসে চতুর্থ সর্বোচ্চ গতির রেকর্ড গড়েছেন তিনি।
পাঞ্জাব ও বেঙ্গালুরু- দুই দলের বিপক্ষেই ম্যাচ সেরার পুরষ্কার জিতেছেন মায়াঙ্ক। বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে ৪ ওভার বল করে ১৪ রান দিয়ে ৪ উইকেট সংগ্রহ করেন এই বোলার। উইকেট তুলেছেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, ক্যামেরন গ্রিন ও থিতু হওয়া রজত পাতিদারের।
ম্যাচ সেরা হওয়ার পর মায়াঙ্ক জানান, "দুই ম্যাচে দুইটি ম্যাচ সেরার পুরষ্কার অর্জন করতে পেরে সত্যি ভালো লাগছে। তবে আমি বেশি খুশি যে, দুইটি ম্যাচই আমরা জিতেছি।"
বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে ২৮ রানের জয় পেয়েছে লক্ষ্ণৌ। এই বোলার যোগ করেন, “আমার লক্ষ্য দেশের হয়ে যত বেশি বছর ধরে ভালো খেলা যায়। এটা মাত্র শুরু, আমার নজর মূল লক্ষ্যের দিকে। "
গ্রিনের উইকেট নিয়ে সবচেয়ে আনন্দ পেয়েছে মায়াঙ্ক। আউটসাইড অফ ডেলিভারিতে হালকা এজ হয়ে সরাসরি বোল্ডে ফিরেছেন গ্রিন। এর ঠিক আগের ডেলিভারিতে বাউন্ডারি পেয়েছিলেন এই অজি ব্যাটার।
প্রতিটি জায়গায় নজর দেওয়া, সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে গতির ঝড় তোলা সম্ভব। মায়াঙ্ক সেই টোটকাও বলে দিলেন। ডায়েট, খাওয়াদাওয়া ও পুনর্বাসন বা বিশ্রাম- সকলকিছুর সমন্বয় এই বোলারের সাফল্যের পিছনে কাজ করেছে।