মিয়ানমারের বিভিন্ন প্রদেশে চলমান যুদ্ধের ধারাবাহিকতায় এবার রাজধানী নেপিদোর একটি সামরিক ঘাঁটিতে ড্রোন হামলা চালিয়েছে সশস্ত্র বিদ্রোহীদের ঐক্যমঞ্চ পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (পিডিএফ)। বৃহস্পতিবার(৪ এপ্রিল) রাজধানী নেপিদোর ওই সামরিক ঘাঁটিতে হামলার ঘটনা ঘটেছে।
দেশটির জান্তাবিরোধী গণতান্ত্রিক ও সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর জোট ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্ট (এনইউজি) ইতোমধ্যে হামলার দায় স্বীকার করে বিবৃতি দিয়েছে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, সেনাশাসিত মিয়ানমারের রাজধানীর এক সামরিক ঘাঁটিতে ড্রোন হামলার খবরটি সত্যি হলে তা হবে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর ভাবমূর্তির জন্য বড় ধরনের ধাক্কা।
২০২১ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের পর জান্তাবিরোধী দলগুলোর সমন্বয়ে গঠিত জাতীয় ঐক্য সরকার (এনইউজি) সমর্থিত পিপলস ডিফেন্স ফোর্স (পিডিএফ) হামলার দায় স্বীকার করে বলেছে, এনইউজের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে তারা হামলাটি চালিয়েছে। পিডিএফ জানায় সামরিক ঘাঁটিটির দুটি স্থানে হামলাগুলো চালানো হয়েছে, এর মধ্যে বিমান বাহিনীর একটি ঘাঁটি রয়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, এ হামলার বিষয়ে পিডিএফ বিস্তারিত আর কিছু জানায়নি। রয়টার্সও স্বতন্ত্রভাবে তাদের দাবির সত্যাসত্য নিশ্চিত করতে পারেনি। হামলায় কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কি না অথবা যে ড্রোনগুলো বা অস্ত্র ব্যবহৃত হয়েছে, সে বিষয়েও বিস্তারিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
ড্রোন হামলার বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দু’জন সামরিক কর্মকর্তা হামলার সত্যতা স্বীকার করে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা বিবিসিকে বলেছেন, বিদ্রোহীদের৭ টি ড্রোনকে ভূপাতিত করতে সক্ষম হয়েছে সেনারা। অন্য ড্রোনটি আঘাত হানার আগেই বিমান ঘাঁটির রানওয়েতে আছড়ে পড়েছে। তবে হামলায় ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কিত কোনো তথ্য তারা দিতে চাননি।