রাজধানীর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৪৪টি ‘অতি ঝুঁকিপূর্ণ’ ভবন সাতদিনের মধ্যে খালি করে সিলগালা করা অথবা ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) সুপারিশের ভিত্তিতে এ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
গেলো বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) মাউশির সহকারী পরিচালক (প্রকৌশল) মোহাম্মদ আব্দুল খালেকের সই করা আদেশ থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
এতে বলা হয়, রাজউকের তালিকায় থাকা বিভিন্ন স্কুল-কলেজের ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ ভবনগুলো মজবুত করতে হবে। আর ‘অধিক ঝুঁকিপূর্ণ’ ৪৪টি ভবন সাতদিনের মধ্যে খালি করে সিলগালা করে দিতে হবে অথবা ভেঙে ফেলতে হবে।
মাউশি বলছে, ‘আরবান রেজিলিয়েন্স প্রকল্প: রাজউক অংশ’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় নিয়োজিত পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ঢাকা মহানগর উন্নয়ন প্রকল্প (ডিএমডিপি) এলাকার সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত বিভিন্ন সংস্থার মালিকানাধীন ‘অধিক ঝুঁকিপূর্ণ’ ভবনগুলো ভেঙে ফেলার সুপারিশ করে। এরমধ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের আওতাধীন রাজউকের তালিকায় থাকা ‘অধিক ঝুঁকিপূর্ণ’ ভবন ৪৪টি।
অতি ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলো হলো-
বাড্ডার আলাতুন্নেছা উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ, সাভারের ভাকুর্তা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, নারায়ণগঞ্জের দেলপাড়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, ঢাকা কলেজিয়েট স্কুল, দনিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, মিরপুর-১ নম্বরের সরকারি বাংলা কলেজ, নারায়ণগঞ্জের সরকারি কদম রসুল কলেজ, গাজীপুরের সরকারি কালিগঞ্জ শ্রমিক কলেজ, ডেমরার হায়দার আলি স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মিরপুর-১৩ নম্বরের হাজী আলি হোসেন উচ্চ বিদ্যালয়।
সূত্রাপুরের কবি নজরুল সরকারি কলেজ, গাজীপুরের কালিগঞ্জ আর আর এন পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়, কেরানীগঞ্জ বালিকা স্কুল অ্যান্ড কলেজ, খিলগাঁও সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, ঢাকার সায়েদাবাদের করাতিটোলা সিএমএস উচ্চ বিদ্যালয়, নারায়ণগঞ্জ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, নারায়ণগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজ, যাত্রাবাড়ীর শহীদ জিয়া বালিকা স্কুল অ্যান্ড কলেজ, সাভারের ভাকুর্তার শ্যামলনগর স্কুল অ্যান্ড কলেজ তেজগাঁও মডেল উচ্চ বিদ্যালয়।
কদমতলীর একেকে উচ্চ বিদ্যালয় অ্যান্ড ব্রাইট কলেজ, বাড্ডার একেএম রহমাতুল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, কদমতলীর কে এম মাইনুদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় (মিঠাব), আজিমপুরের অগ্রণী স্কুল অ্যান্ড কলেজ, কোতোয়ালি থানার আহমেদ বাওয়ানী একাডেমি, গোড়ানের আলী আহমেদ স্কুল অ্যান্ড কলেজ, পল্টনের আরামবাগ উচ্চ বিদ্যালয় এবং লালবাগের আনন্দময়ী বালিকা বিদ্যালয়।
এএম/