বান্দরবানের থানচি উপজেলায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে কুকি চীন ন্যশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সংঘর্ষ ও ব্যাংক লুটের ঘটনায় সদরে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। বন্ধ রয়েছে থানচি বাজারের বেশির ভাগ দোকানপাট। আতঙ্কে এলাকা ছেড়ে যাচ্ছেন অনেকে। বর্তমানে থানচি এলাকায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও পুলিশের সতর্ক পাহারা রয়েছে।
শুক্রবার (৫ এপ্রিল) গণমাধ্যমকে এমনটাই জানিয়েছেন স্থানীয়রা। তবে পুলিশ বলছে, নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। আতঙ্কের কোনো কারণ নেই।
স্থানীয় বাসিন্দা দিদারুল আলম জানান, স্ত্রী ও দুই সন্তানকে চট্রগ্রামের সাতকানিয়ায় পাঠিয়ে দিচ্ছেন। এখানে গোলাগুলি হচ্ছে। ছেলে-মেয়ে নিয়ে আতঙ্কিত। এর ঈদের দিনও কাছে চলে এসেছে। তাই সব মিলিয়ে নিরাপত্তার খাতিরে পরিবারের অন্য সদস্যদের সাতকানিয়ায় পাঠিয়ে দিচ্ছেন তিনি
থানচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসীম উদ্দিন জানান, ৪ এপ্রিল রাতের হামলার পর সন্ত্রাসীরা থানার এক থেকে দেড় কি.মি. এলাকার মধ্যে অবস্থান করছে। তাঁরা সতর্ক অবস্থানে আছেন। তাদের ধারণা, পুলিশের উপর হামলা করে কেএনএফ নিজেদের শক্তির জানান দিচ্ছে ও অস্ত্র লুটের পরিকল্পনা করছে। ৪ এপ্রিল রাতে দুটি জায়গা থেকে কেএনএফ এর দুটি দল তইক্ষণ পাড়া ও শাহজাহান পাড়া থেকে হামলা চালিয়েছে।
তিনি জানান, থানার জন্য বাড়তি ফোর্স আনা হয়েছে এবং আরও ফোর্স আনা হচ্ছে। সবাই অস্ত্র নিয়ে থানায় চারপাশে সতর্ক অবস্থানে আছে।
এদিকে স্থানীয়রা জানায়, শুক্রবার থানচি পাড়া জামে মসজিদে জুম্মার নামাজ আদায় করা হয়েছে পুলিশ পাহারায়। থানা থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরের এই মসজিদে নামাজ শুরুর আগেই অস্ত্র হাতে অবস্থান নেয় পুলিশ।
সকাল থেকে ট্রাকে করে নারী-পুরুষদের এলাকা ছাড়তে দেখা গেছে। এ সময় তাদের সঙ্গে খাবার ও অতিরিক্ত কাপড় দেখা গেছে। থানচি সদর উপজেলার বাজারের বেশিরভাগ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে বন্ধ। যারা খুলেছেন, তারাও আছেন আতঙ্কে