সরকার যত মেগা প্রজেক্ট হাতে নিচ্ছে সবগুলোতে মেগা দুর্নীতি হচ্ছে। এই সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। সেই সরকার কীভাবে কাজ করবে তা আলোচনার মাধ্যমে চূড়ান্ত হবে। এই নির্বাচন কমিশন ও ইভিএমের অধীনে নির্বাচনে যাব না, এটা গণতন্ত্রকামী সকল বিরোধী দলের সিদ্ধান্ত। বললেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না।
আজ শুক্রবার (৮ জুলাই) দুপুর ১২টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে গণতন্ত্র ফোরাম আয়োজিত ‘বেগম খালেদা জিয়াসহ সকল রাজবন্দীদের মুক্তি, বিদ্যুতের সর্বনাশা লোডশেডিং বন্ধ এবং দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে’র দাবিতে প্রতীকী অবস্থান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মান্না বলেন, সরকারের ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দেওয়ার কথাটি একটি মিথ্যা কথা। সরকার বলে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২৫ হাজার মেগাওয়াট অথচ এখন বিদ্যুৎ উৎপাদন হয় ৬-৭ হাজার মেগাওয়াট। সরকার বলে সেপ্টেম্বরের পরে বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান হবে তখনতো শীত আসবে এমনিতে বিদ্যুতের চাপ কমবে। এটা বলার দরকার কী? সরকার বিদেশি নিষেধাজ্ঞাকে মানবাধিকার লঙ্ঘনের সামিল বলছে তাহলে খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ না দেওয়া আরও বড় মানবাধিকার লঙ্ঘন।
তিনি বলেন, এ সরকারের আমলে আমাদের ভাত কাপড় রুটি-রুজি অধিকার কোনো কিছুই নিরাপদ নয়। ১০ টাকা কেজিতে চাল খাওয়ানোর কথা বলে ক্ষমতায় এসে জিনিসপত্রের দাম বাড়ার পরে বলে জিনিসপত্রের দাম কিছুটা বেড়েছে ওটা আমরা ঠিক করে নেব। এটাই যদি কিছুটা বাড়া হয় তাহলে সরকার মানুষকে কী ভাবে? দেশে একটা সংকট হলে মানুষ প্রতিবাদ করে তখন সরকার আরেকটা সংকট তৈরি করে যাতে মানুষ আগেরটা ভুলে পরেরটা নিয়ে কথা বলে।
তিনি আরও বলেন, আমেরিকার মতো দেশসহ পৃথিবীর অনেক বড় বড় দেশ পুলিশ-র্যা বের বড় কর্মকর্তার ওপরে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। চিন্তা করে দেখেন, র্যা ব-পুলিশের মতো বাহিনী যদি আন্তর্জাতিকভাবে ঘৃণিত হয় তাহলে আমাদের সম্মান থাকে কোথায়?
প্রতীকী অবস্থান কর্মসূচিতে গণতন্ত্র ফোরামের সহ-সভাপতি হাসনাত মো. রায়হানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মদ রহমতউল্লাহ, সাবেক এমপি বিলকিস ইসলাম, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য রাজিয়া আলিমসহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।