ক্যাম্পাস

ঢাবির সুইমিংপুলে শিক্ষার্থীর মৃত্যু

ঢাবির সুইমিংপুলে শিক্ষার্থীর মৃত্যু
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সুইমিংপুলে গোসল করতে নেমে মুহাম্মদ সোয়াদ নামের এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠের পাশে অবস্থিত সুইমিংপুলে এই ঘটনা ঘটে। বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্রে পরিচালক মো. শাহজান আলী। জানা যায়, নিহত ওই শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের দর্শন বিভাগের এবং হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের ছাত্র ছিলেন। ঘটনাস্থলে উপস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়ের আরমান নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমরা তখন গোসল করে উঠে কাপড় বদলাইতেছি। এমন সময় একজন বলতেছে এক ছেলে পানি খাইছে। ইতোমধ্যে ওরে পাড়ে ওঠানোও হইলো। কিন্তু প্রাথমিক চিকিৎসা কী করতে হবে কেউই কিছু বুঝতেছে না। একজন একেকটা বলতেছে। পরে একজনে তাকে চিত করে শোয়ানো অবস্থায়ই তার পেটে জোর করে চাপিতেছিল যেন পানি বের হয়ে যায়৷ তখনও ছেলের শ্বাস বদ্ধ, নড়াচড়া নেই। সবাই শোরগোল করতেছে। সবাই সবাইরে বলতেছে অ্যাম্বুলেন্স ডাকো। কিন্তু কেউই ডাকতেছে না।’ ওই শিক্ষার্থী আরও বলেন, ‘ওখানে সুইমিংপুলের দায়িত্বে থাকা অনেকজন ছিল। কেউ কিছু করতেছে না। তারা একবার একেকটা বলতেছে। কাউরে বলতেছে অ্যাম্বুলেন্স ডাকেন। কাউরে বলতেছে রিকশা ডাকেন। কিন্তু তারা কিছু করতেছে না। এখানেই অনেক সময় চলে গেছে। পরে কোলে করে রিকশায় নেবে এমন সময় আরেক বড় ভাই আসলো। তিনি এসে বলল, আমি প্রাথমিক চিকিৎসা দিচ্ছি। পরে তিনি উপর করে শোয়াইয়া পেটের নিচে হাত রেখে উপরে চাপ দিয়ে অনেক পানি বের করছে। তখন ওই ছেলের শ্বাস নেয়া শুরু হইছে এবং তা স্পষ্টই বোঝা যাচ্ছিলো। এরপর রিকশায় করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলো। আমরা আর কিছু জানি না।’ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া গণমাধ্যমে বলেন, ঘণ্টাখানেক আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একজন শিক্ষার্থীকে নিয়া আসা হয়েছে। ওই শিক্ষার্থী পানি বেশি খেয়েছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেছে। তার মরদেহ এখন মর্গে রাখা আছে।   এএম/

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন ঢাবির | সুইমিংপুলে | শিক্ষার্থীর | মৃত্যু