গাইবান্ধায় ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণের জন্য অপহরণ করেন গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের স্কুলছাত্র শাহরিয়ার রহমান শিহাবকে (১৫)। পরিকল্পনা অনুযায়ী অর্থ পেতে দুই দফায় ব্যর্থ হয়ে হত্যা করে বস্তায় ভরে নদীতে ফেলে মৃত্যু নিশ্চিত করে কিশোর গ্যাং।
এ ঘটনায় আব্দুর রাজ্জাক ওরফে সুমন (১৫), জিন্নাহ মিয়া (১৬) ও বাদশা মিয়া নামের তিন কিশোরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার আব্দুর রাজ্জাক সুন্দরগঞ্জ উপজেলার মধ্য শান্তিরাম গ্রামের আতাউর রহমানের ছেলে, জিন্নাহ মিয়া শান্তিরাম কালিয়ারছিড়া গ্রামের মঞ্জু মিয়ার ছেলে এবং বাদশা মিয়া শান্তিরাম ফোরকানিয়া এলাকার ফরিদুল ইসলামের ছেলে।
আজ বুধবার (২০ জুলাই) দুপুরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন বিষয়টি নিশ্চিত করেন গাইবান্ধার পুলিশ সুপার তৌহিদুল ইসলাম।
তিনি জানান, গেলো ১৪ জুলাই রাত ১০টার দিকে বেলকা চৌরাস্তা মোড় থেকে বাড়ি ফেরার পথে অপহৃত হয় শিশু শিহাব। এ ঘটনায় পরের দিন শিহাবের বাবা সুন্দরগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। ডায়েরির সূত্র ধরে একই দিন বিকেল ৩টার দিকে সুন্দরগঞ্জ থানা এলাকার কাপাসিয়া ইউনিয়নের লাল চামার খেয়াঘাট এলাকার তিস্তা নদী থেকে শিশু শিহাবের বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ নিয়ে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা করেন নিহতের বাবা আনিছুর রহমান।
এসপি আরও বলেন, এটা একটি চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ড। হত্যার সঙ্গে জড়িত তিন কিশোরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। বিকেলে গ্রেপ্তার তিনজনকে আদালতে নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।