সম্প্রতি ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি পাকিস্তান সফর করেছেন। তাঁর তিনদিনের ইসলামাবাদ সফরে কোনো চুক্তি সই না হলেও ৮টি দ্বিপাক্ষিক সমঝোতাপত্র সই হয়েছে। তবে ইরানের প্রেসিডেন্টের পাকিস্তান সফর এবং ইসলামাবাদ-তেহরানের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সমঝোতা সই ভালোভাবে মেনে নিতে পারেনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। একারণে ইরানের প্রেসিডেন্ট সফর শেষে পাকিস্তান ত্যাগ করার পরই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র হুঁশিয়ারি দিয়ে বোলেছে, ইরানের সঙ্গে কোনো ধরণের বাণিজ্যিক চুক্তি হলে বা চুক্তির পথে হাঁটলে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়ার ঝুঁকির কথাও মাথায় রাখতে হবে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই হুঁশিয়ারির ফলে পাকিস্তানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির প্রকল্পের পথে বাধা তৈরি করতে পারে বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকদের অনেকে।
সিরিয়ায় নিজেদের কনস্যুলেট ভবনে হামলার জবাবে ইসরায়েলে তিন শতাধিক ড্রোন ও মিসাইল হামলা চালায় ইরান। আকাশপথে ইরানের সাম্প্রতিক এই হামলা নিয়ে সরগরম দুনিয়া। এর মধ্যেই পাকিস্তান সফর করেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। তাঁর সফরের পরই নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের উপপ্রধান মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল পাকিস্তানের নাম উল্লেখ করে বলেন, ‘গণবিধ্বংসী অস্ত্র কেনার নেটওয়ার্কের বিস্তার যেখানেই ঘটবে, আমরা সেখানে বাধা দেব এবং ব্যবস্থা নেব। ইরানের সঙ্গে ব্যবসায়িক চুক্তিতে যারা যাবে, তাদের বলব নিষেধাজ্ঞার কোপে পড়ার সম্ভাব্য ঝুঁকির কথাটাও মাথায় রাখতে।’’
নিষেধাজ্ঞার হুঁশিয়ারির কারণ জানতে চাওয়া হলে প্যাটেল প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘কারণ, এরা হল সেই সব সংস্থা, যারা গণবিধ্বংসী অস্ত্র ছড়িয়ে দিচ্ছে। এদের ঘাঁটি চিন এবং বেলারুসে। এরা পাকিস্তানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রকল্পের যন্ত্রপাতি ও অন্যান্য উপকরণ সরবরাহ করেছিল।’