বছরের অন্যান্য মাসের তুলনায় ঈদের মাসে রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় বাড়লেও এবার ঈদের মাসে অর্থাৎ এপ্রিল মাসে তা কমেছে। সদ্য বিদায়ী এই মাসের প্রথম ২৯ দিনে বৈধ পথে অর্থাৎ ব্যাংকিং চ্যানেলে দেশে ১৯০ কোটি ৮০ ডলারের সমপরিমাণ রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় এসেছে।
বুধবার (১ মে) বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে প্রবাসী আয়ের এ তথ্য জানা গেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ি, এপ্রিল মাসের প্রথম ১৯দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১২৮ কোটি ১৫ লাখ মার্কিন ডলার। তবে পরের ১০ দিনে এসেছে ৬২ কোটি ৬৫ লাখ মার্কিন ডলার। এহিসেবে দৈনিক গড়ে ছয় কোটি ডলার রেমট্যিান্স দেশে এসেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক বোলছে, প্রতিবছর ঈদ উপলক্ষে বাড়তি প্রবাসী আয় আসার প্রবণতা লক্ষ করা গেলেও এবার তেমনটা দেখা যায়নি। গত মার্চে সব মিলিয়ে প্রবাসী আয় এসেছিলো ১৯৯ কোটি ৬৮ লাখ মার্কিন ডলার। তার আগের মাস অর্থাৎ ফেব্রুয়ারিতে রেমিট্যান্স আসে ২১৬ কোটি ৬০ লাখ ডলার। আর বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে রেমিট্যান্স আসে ২১০ কোটি মার্কিন ডলার।
ব্যাংক সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অবৈধ চ্যানেলে বা হুন্ডির কারণে রেমিট্যান্সপ্রবাহ কমেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি সূত্র বোলছে, ডলারের আনুষ্ঠানিক দাম ১১০ টাকা হলেও বেশির ভাগ ব্যাংক এখন ১১৫ থেকে ১১৬ টাকা দরে ডলার কিনছে। তবে সংকটে থাকা কিছু ব্যাংক আরও বেশি দামেও ডলার কিনছে। এর ফলে আমদানিকারকদেরকে অতিরিক্ত দামে ডলার কিনে আমদানি দায় মেটাতে হচ্ছে। এর প্রভাব পড়ছে ভোক্তার ওপর। দেশে সামগ্রিক মূল্যস্ফীতির হার এখনো উচ্চ রয়ে গেছে।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসেরব অনুয়ায়ি, গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে ২ হাজার ১৬১ কোটি ৭ লাখ ডলারের প্রবাসী আয় এসেছিল। এর আগের ২০২১-২২ অর্থবছরে আয় আসে ২ হাজার ১০৩ কোটি ১৭ লাখ ডলার। সবচেয়ে বেশি প্রবাসী আয় অসে ২০২০-২১ অর্থবছরে। ওই অর্থবছরে মোট ২ হাজার ৪৭৭ কোটি ৭৭ লাখ ডলার রেমিট্যান্স আনে। এটি এখন পর্যন্ত এক অর্থবছরে সর্বোচ্চ প্রবাসী আয়।