সংক্ষিপ্ত সফর শেষে তাইওয়ান ছেড়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি। যদিও এই সফরের আগ থেকেই এ বিষয়ে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে আসছিলো চীন। তবে সেসব হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করে তাইওয়ান সফরকালে দেশটির প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েনকে পেলোসি জানান, তাইওয়ানের প্রতি ওয়াশিংটনের সমর্থন অব্যাহত থাকবে।
আজ বুধবার (৩ আগস্ট) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে এই তথ্য।
সে প্রতিবেদনে জানানো হয়, পেলোসি বুধবার (৩ জুলাই) তাইওয়ান নেতৃবৃন্দের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে তাইপে ছেড়েছেন। এর আগে গেলো মঙ্গলবার স্থানীয় সময় রাত ১১টার দিকে তিনি তাইওয়ানে অবতরণ করেন।
সফরকালীন সময়ে তাইওয়ানের রাজধানী তাইপের প্রেসিডেন্সিয়াল প্যালেসের সামনে জড়ো হওয়া জনতার উদ্দেশ্যে পেলোসি বলেন, আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে এখন তাইওয়ানের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সংহতি খুব গুরুত্বপূর্ণ এবং এই বার্তাটিই আজকে আমরা এখানে নিয়ে এসেছি। তাইওয়ানের একজন ভালো বন্ধু হিসেবে নিজেকে সম্মানিত বোধ করছেন জানিয়ে তাইওয়ানের ডেপুটি স্পিকারের উদ্দেশে পেলোসি বলেন, এ সফরের তিনটি উদ্দেশ্য আছে। প্রথমটি হলো নিরাপত্তা, আমাদের জনগণ এবং বিশ্বের জন্য নিরাপত্তা। দ্বিতীয়টি অর্থনীতি, যতটা সম্ভব সমৃদ্ধি ছড়িয়ে দেওয়া এবং তৃতীয়টি অনুশাসন।
পেলোসির তাইওয়ান সফরের আগে গেলো বুধবার ক্ষোভ প্রকাশ করে বেইজিং। এদিন এক বিবৃতিতে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই বলেন, যারা আগুন নিয়ে খেলে তাদের ভালো পরিণতি হবে না এবং যারা চীনকে অপমান করে তাদের শাস্তি দেয়া হবে। যুক্তরাষ্ট্র তথাকথিত গণতন্ত্রের আড়ালে চীনের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করছে।
পেলোসি তাইওয়ানে পৌঁছানোর আগেই গতকাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানের পূর্বাঞ্চলীয় জলরাশিতে যুদ্ধবিমানবাহী জাহাজসহ চারটি রণতরী মোতায়েন করে। মার্কিন নৌবাহিনী অবশ্য একে নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ হিসেবে আখ্যায়িত করে। অন্যদিকে চীন তাইওয়ানের আকাশসীমা অতিক্রম করে যুদ্ধজাহাজ ওড়ায়।
চীন পেলোসির এ সফরের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ সফরকে এক-চীন নীতির শর্তে মারাত্মক আঘাত হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। চীন-মার্কিন সম্পর্কে এর চরম নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলেও এক বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
মির্জা রুমন