‘দেশে একটি মহল সবসময় বিভ্রান্তি ছড়ায়। পদ্মা সেতু থেকে যখন বিশ্বব্যাংক মুখ ফিরিয়ে নিলো তখন টিআইবি, সিপিডি এরা লাফিয়ে লাফিয়ে অনেক বক্তব্য দিয়েছে। বিএনপিও লাফিয়ে লাফিয়ে বক্তব্য রাখছিলো, আর বিএনপির সাথে সিপিডি, টিআইবি এরাও লাফাচ্ছিলো। আজকে জ্বালানি তেলের মূল্য সমন্বয় করা হয়েছে। আমাদের দেশে ডিজেলের মূল্য ১১৪ টাকা, কলকাতায় সেটি ১১৬ টাকা অর্থাৎ কলকাতার চেয়ে এখনো এখানে কম আছে। এই মূল্য বৃদ্ধির পরও বিপিসিকে প্রতি লিটার ডিজেলে ৮ টাকা ভর্তুকি দিতে হচ্ছে।’ বললেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
আজ বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য অধিদপ্তরে আয়োজিত জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
ড. হাছান বলেন, বিএনপিসহ কিছু দল ও প্রতিষ্ঠান জ্বালানি তেলের মূল্য নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। কিছু কিছু ব্যক্তি যারা নিজেকে বুদ্ধিজীবী হিসেবে পরিচয় দেয় আমিও তাদেরকে বুদ্ধিজীবী হিসেবেই গণ্য করি কিন্তু সময়ে সময়ে তাদের বুদ্ধি লোপ পায়, সময়ে সময়ে বিশেষ উদ্দেশ্যে তাদের বুদ্ধি ব্যবহৃত হয়। গেলো কয়েকদিন ধরে যেভাবে কথাবার্তা বলছেন এটি জনগণকে বিভ্রান্ত করার শামিল। আমি আশা করবো তারা জনগণকে বিভ্রান্ত করার এই অপচেষ্টা থেকে বেরিয়ে আসবেন। যখন বিশ্ব বাজারে স্থিতিশীলভাবে জ্বালানি তেলের মূল্য কমবে তখন সরকার আবার মূল্য সমন্বয় করবে।
তিনি বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকান্ড ইতিহাসে অন্যতম জঘন্যতম একটি হত্যাকান্ড। বঙ্গবন্ধু যখন যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে পুনর্গঠন করে সমৃদ্ধির দিকে নিয়ে যাচ্ছিলেন তখনই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছিলো। যখন বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয় তখন বাংলাদেশে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ছিলো ৯.৫৪ শতাংশ অর্থাৎ সাড়ে ৯ শতাংশের বেশি। আজ পর্যন্ত বাংলাদেশ সেই সাড়ে ৯ শতাংশের বেশি জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে সক্ষম হয়নি। প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যার নেতৃত্বে আমরা ৮ শতাংশের বেশি জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে সক্ষম হয়েছিলাম কিন্তু ৯ শতাংশ আমরা এখনো ছুঁতে পারিনি।’
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে হত্যা করার উদ্দেশ্যেই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছিলো, কারণ বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের পর পাকিস্তানের সাথে কনফেডারেশন করার, জাতীয় পতাকা, জাতীয় সংগীত পরিবর্তনের এবং রেডিও, টেলিভিশনসহ সব ক্ষেত্রে পাকিস্তানি ভাবধারা ফিরিয়ে আনার অপচেষ্টা হয়েছিলো। তখন থেকে জাতি এক জায়গায় ঘুরপাক খেয়েছিলো দীর্ঘ ২০ বছর। সেই অচলাবস্থা ভেঙ্গেছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে আবার সরকার গঠন করার মধ্য দিয়ে এবং ২০০৮ সালে সরকার গঠন করার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ সাড়ে ১৩ বছরে যেভাবে এগিয়ে গেছে আজকে বাংলাদেশ পৃথিবীর সামনে একটি গর্বিত রাষ্ট্র।