গেলো ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১ হাজার ৭০০-র বেশি মানুষ। একই সময়ে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৭ লাখ ৬৭ হাজার।চলমান করোনা মহামারিতে বিশ্বজুড়ে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে। তবে আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা।
আজ শুক্রবার (১২ আগস্ট) সকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গেলো ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১ হাজার ৭২৪ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে প্রায় তিনশো। এতে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৬৪ লাখ ৪৮ হাজার ৭৪ জনে।
এদিকে গেলো ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে জাপানে। অন্যদিকে দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রাণহানির তালিকায় এরপরই রয়েছে জাপান, ব্রাজিল, ইতালি, মেক্সিকো, অস্ট্রেলিয়া ও ইরান। এতে বিশ্বব্যাপী করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৫৯ কোটি ২৯ লাখের ঘর। অন্যদিকে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৬৪ লাখ ৪৮ হাজার।
একই সময়ের মধ্যে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৭ লাখ ৬৭ হাজার ৬৯০ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে সাড়ে ৩ হাজার। এতে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৯ কোটি ২৯ লাখ ২৯ হাজার ১৯৫ জনে।
এদিকে গেলো ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে জাপানে। এই সময়ের মধ্যে দেশটিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখ ৪৩ হাজার ১০৪ জন এবং মারা গেছেন ২৪৮ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে পূর্ব এশিয়ার এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১ কোটি ৪৮ লাখ ৬১ হাজার ৩৭৫ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ৩৪ হাজার ৩২৩ জন মারা গেছেন।
অন্যদিকে দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। গেলো ২৪ ঘণ্টায় এই দেশটিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৭৯ হাজার ১৪৫ জন এবং মারা গেছেন ২৯০ জন। করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৯ কোটি ৪৪ লাখ ৭৯ হাজার ৭৭৯ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১০ লাখ ৬১ হাজার ৩৪৬ জন মারা গেছেন।
লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে চতুর্থ ও মৃত্যুর সংখ্যায় তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। গেলো ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১৭৩ জন এবং নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ২৭ হাজার ৬৪৪ জন। অপরদিকে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৩ কোটি ৪১ লাখ ২৪ হাজার ৫৭৯ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৬ লাখ ৮১ হাজার ২৫ জনের।
ফ্রান্সে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২৪ হাজার ৩১২ জন এবং মারা গেছেন ৮০ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৩ কোটি ৪১ লাখ ৬৯ হাজার ২৮১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১ লাখ ৫২ হাজার ৯৯০ জন মারা গেছেন। একইসময়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৩৭ হাজার ১৯৬ জন এবং মারা গেছেন ৫৯ জন।
ইতালিতে গেলো ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২৮ হাজার ৪২৩ জন এবং মারা গেছেন ১৩০ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে ইউরোপের এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২ কোটি ১৪ লাখ ২৮ হাজার ৬০২ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১ লাখ ৭৩ হাজার ৭০১ জন মারা গেছেন। একইসময়ে মেক্সিকোতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১৪ হাজার ৮৪১ জন এবং মারা গেছেন ৮৮ জন।
তাইওয়ানে গেলো ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৪৪ জন এবং নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ২২ হাজার ৯০৯ জন। এছাড়া মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৪৮ লাখ ২৪ হাজার ৫৫০ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৯ হাজার ৩৪২ জনের। একইসময়ে ইরানে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৭ হাজার ৩৯৬ জন এবং মারা গেছেন ৮৪ জন।
রাশিয়ায় গেলো ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৫২ জন এবং নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ২৫ হাজার ৮১৫ জন। এছাড়া মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১ কোটি ৮৭ লাখ ৯৬ হাজার ৪৭২ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ৮২ হাজার ৯৫৪ জনের। একইসময়ে নিউজিল্যান্ডে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৫ হাজার ১৬ জন এবং মারা গেছেন ২১ জন।
এছাড়া গেলো ২৪ ঘণ্টায় অস্ট্রেলিয়ায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২৫ হাজার ৩৪৮ জন এবং মারা গেছেন ৮৭ জন। একইসময়ে থাইল্যান্ডে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ৩১৬ জন এবং মারা গেছেন ৩৫ জন। চিলিতে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৩ হাজার ৪৯৪ জন এবং মারা গেছেন ৫১ জন।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ২০২০ সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি।
বিআ