ভারতের কলকাতায় ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপি আনোয়ারুল আজিম আনারের হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় অজ্ঞাত আসামিদের নামে অপহরণ মামলা করেছেন তাঁর মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন।
বুধবার (২২ মে) সন্ধ্যায় শেরেবাংলা নগর থানায় মামলাটি নথিভুক্ত হয়েছে বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আহাদ আলী।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গেলো ১১ মে ভুক্তভোগী ভিডিও কলে তাঁর বাবার সঙ্গে কথা বলেন। এসময়ে তাঁর বাবার কথাবার্তা কিছুটা অসংলগ্ন মনে হয়। এরপরে একাধিকবার চেষ্টা করেও মুমতারিন তাঁর বাবার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি। পরে ১৩ মে নিহত এমপির ভারতীয় হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বার থেকে এক মেসেজে তাকে বলা হয় এমপি আনোয়ারুল অমিত সাহার কাজে যাচ্ছেন। তাকে ফোন দেয়ার দরকার নেই।
মামালায় মুমতারিন জানান, এই খুদে বার্তাগুলো অপহরণকারীরা তাঁরা বাবার মুঠোফোন ব্যবহার করে দিয়ে থাকতে পারে। বাবার সঙ্গে যোগাযোগ না করতে পেরে মুমতারিন তাঁর বাবার ভারতীয় বন্ধুর মাধ্যমে বরানগর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
এদিকে মামলা দায়েরের আগে দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে যান এমপি আনারের কন্যা। পরে সেখানে কান্নাজড়িত কণ্ঠে বাবার হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করেন।
এসময়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন বলেন, ‘আজ আমি এতিম হয়েছি, যার বাবা থাকে না তার কেউ থাকে না। বাবার সঙ্গে আমার ভিডিও কলে সর্বশেষ কথা হয়েছিল।’
এ হত্যাকাণ্ড নিয়ে ডিএমপি গোয়েন্দা প্রধান জানান, একজন সংসদ সদস্যকে বাংলাদেশি অপরাধীরা নৃশংসভাবে হত্যা করেছে। কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি যারা আছে তাদের প্রত্যেককে আইনের আওতায় আনা হবে।
প্রসঙ্গত, গেলো ১১ মে সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার চিকিৎসার জন্য ভারতে যান। এরপর তিন দিন পার হলেও পরিবারের সদস্যরা তার সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করতে পারেননি।
আই/এ