বাংলাদেশ উপকূল এবং সংলগ্ন পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে আছড়ে পড়ে প্রবল ঘূর্ণিঝড় রেমাল। বাংলাদেশের যেখানে ল্যান্ডফল হয়, সেখানে ঝড়ের সর্বোচ্চ বেগ ছিল ঘণ্টায় ১৩৫ কিলোমিটার। পশ্চিমবঙ্গেও ঝড়ের বেগ ঘণ্টায় ১০০ কিমি ছাড়িয়ে গেয়েছে।
এর প্রভাব পড়েছে শহর ও জেলার বিভিন্ন জায়গায়। ঝড়-বৃষ্টিতে জনজীবন প্রায় স্তব্ধ হয়ে পড়েছে। শহরের একাধিক জায়গায় জলমগ্ন হয়ে পড়েছে তেমনি পানি জমার ছবি দেখা গেলো পার্কস্ট্রিট ও জাদুঘরের সামনে। বিপর্যস্ত কলকাতার একাংশ। নানা জায়গায় ছিঁড়ল বিদ্যুতের তার। বিদ্যুতের খুঁটি উপড়েও বিপর্যয় বিভিন্ন জায়গায়।
আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর জানায়, খবর, সোমবার দুপুর পর্যন্ত কলকাতা ও পাশের জেলাগুলিতে দুর্যোগ চলতে পারে। কলকাতার পার্ক সার্কাস, ঢাকুরিয়া, বালিগঞ্জ, আলিপুর-সহ নানা জায়গায় হাঁটুপানি জমে। রেমালের তাণ্ডবে গাছ ভেঙে পড়ে অবরুদ্ধ বহু রাস্তাঘাট। বিদ্যুতের তার, খুঁটি ছিঁড়ে নানা এলাকা বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন।
পৌরসভা জানিয়েছে, সোমবার সপ্তাহের প্রথম দিন। সাধারণ মানুষের যাতে কোনও সমস্যা না হয়, সেই চেষ্টাই করা হচ্ছে।
বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস বলেন, কিছু কিছু জায়গায় ট্রান্সফরমার উড়ে গিয়েছে। পরিস্থতি দ্রুত স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে। ঝড় থামলে জানতে পারব, কোথায় কী ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে।
আবহাওয়া অফিস জানায়, রেমালের প্রভাবে উত্তর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা, কলকাতা, পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলিতে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সেখানে লাল সতর্কতা জারি রয়েছে। দুই ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরের কিছু জায়গায় অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। জারি কমলা সতর্কতা। সেখানে ২০ সেন্টিমিটারের বেশি বৃষ্টির সম্ভাবনা। পশ্চিম মেদিনীপুর, নদিয়া, পূর্ব বর্ধমানে জারি কমলা সতর্কতা। সোমবার নদিয়া, মুর্শিদাবাদে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সেখানে জারি লাল সতর্কতা। কলকাতা, হাওড়া, দুই ২৪ পরগনা, হুগলি, বীরভূম, পূর্ব বর্ধমানে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির জন্য কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাতেও ভারী বৃষ্টির জন্য হলুদ সতর্কতা জারি।
জেএইচ