মুষলধারে বৃষ্টি হয়েই চলেছে। সেই সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া। ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’-এর প্রভাব এখনও পুরোপুরি কাটেনি। কিন্তু এই দুর্যোগেও বাড়ি বসে থাকার উপায় নেই অনেকেরই। কাজের তাগিদে বাইরে বেরোতেই হচ্ছে। যেতে হচ্ছে অফিসে। এমন আবহাওয়ায় সঙ্গে ছাতা তো রাখতেই হবে। তাছাড়া ঝড়-বৃষ্টিতে আরও অনেক সমস্যার ঝুঁকি থাকে। তাই প্রস্তুত হয়েই বাড়ি থেকে বেরোনো জরুরি। তবে শুধু ছাতা নয়, অফিসের ব্যাগে আরও কয়েকটি জিনিস রাখা জরুরি।
বাড়তি পোশাক
কখন বর্ষা নামবে, তা আগে থেকে বলা যায় না। বাড়ি থেকে বেরোলেন রোদ দেখে, এ দিকে মাঝরাস্তায় হঠাৎ বৃষ্টি নামল ঝেঁপে। ছাতা না থাকলে তো আরও বিপদ! কতক্ষণ আর বৃষ্টি থামার অপেক্ষা করা যায়। ফলে ভিজতে ভিজতে অফিস যাওয়া ছাড়া উপায় নেই। তাছাড়া মাঝেমাঝে এমন জোরে বৃষ্টি নামে যে, ছাতা থাকলেও ভিজে যেতে হয়। ভিজে পোশাক পরে তো বেশিক্ষণ থাকা ঠিক হবে না। তাই সঙ্গে বাড়তি জামাকাপড় থাকলে বদলে নিতে পারবেন। ঠান্ডা লেগে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
পাওয়ার ব্যাঙ্ক
মোবাইল সচল না থাকলে অনেক কাজেই বিঘ্ন ঘটে। মোবাইল ব্যবহার করলেও চার্জ দেয়ার কথা ভুলে যান অনেকেই। বাড়ি থেকে কিছু দূর আসতেই যদি ফোন বন্ধ হয়ে যায়, তা হলে বিপদ। অফিসের মেল, হোয়াটসঅ্যাপ কিছুই দেখা যায় না। সেই সময় পাওয়ার ব্যাঙ্ক থাকলে রাস্তাতেই চার্জ দিয়ে নেয়া যায়। বিশেষ করে বর্ষাকালে পাওয়ার ব্যাঙ্কের আরও বেশি দরকার পড়ে। কারণ, এই সময়ে ঘন ঘন লোডশেডিং হয়। ফলে অফিসেও পাওয়ার কাট হতে পারে। পাওয়ার ব্যাঙ্ক থাকলে সমস্যা হবে না।
স্যানিটাইজার
বর্ষায় সংক্রমণের ভয় বেশি। তাই সব সময়ে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা জরুরি। বিশেষ করে খাবার খাওয়ার আগে স্যানিটাইজার ব্যবহার করা জরুরি। রাস্তায় দাঁড়িয়ে খাবার খাওয়ার আগে স্যানিটাইজার না মেখে খাওয়া একেবারেই ঠিক হবে না। তাই ব্যাগে সব সময় স্যানিটাইজারের একটি বোতল রেখে দিন।
রুমাল
সঙ্গে ছাতা থাকলেও বৃষ্টির ছিটে গায়ে এসে লাগেই। আবার অনেকেই ছাতা নিয়ে যেতেও ভুলে যান। কোনও কারণে ভিজে গেলে পানি মোছার জন্য রুমাল রাখুন সঙ্গে। অন্তত মাথা এবং হাত-পা মুছে নিলেও ঠান্ডা লেগে যাওয়ার ঝুঁকি কমবে।
ওয়াটারপ্রুফ ব্যাগ
দরকারি কাগজপত্র, কোনও যন্ত্রপাতি কিংবা অন্য কোনও প্রয়োজনীয় জিনিস সঙ্গে থাকলে সেগুলি একটি ওয়াটারপ্রুফ পাউচে ভরে তার পর ব্যাগে ভরুন। গুরুত্বপূর্ণ জিনিসপত্র সুরক্ষিত রাখতে এ সময়ে পানিরোধী ব্যাগ ব্যবহার করা জরুরি।