‘আমি জায়েদ খানের বড় এক ফ্যান। তাই ভালোবেসে গরুর নাম দিছি ‘জায়েদ খান’। জায়েদ খানের মতো ডিগবাজি মারার চায় কিন্তু পারেনা। দেখছেন পাগলামি করতাছে খালি’ -এভাবেই প্রিয় গরুর নামকরণের যৌক্তিকতা তুলে ধরেন গাজীপুরের প্রান্তিক খামারি আক্তার হোসেনের ছোট ছেলে জিহাদ খান।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া আলোচিত গরুটির ওজন ৩০ মণেরও বেশি। প্রতিদিন কাঁচা ঘাস, খড়, ভুসিসহ দেড় হাজার টাকার খাবার খায়। বিশাল ওজনের তুলনায় বেশি লাফালাফি করে। অপরিচিত মানুষ দেখলেই ডিগবাজি মারার জন্য তোরজোড় শুরু করে। কোনোভাবেই স্থির থাকে না গরুটি ।
ঢাকাই সিনেমার অভিনেতা জায়েদ খান মানেই ডিগবাজি, সাম্প্রতিক সময়ে এটা সিগনেচার স্টেপে পরিণত হয়েছে। তার সঙ্গে অনেকটা মিল থাকায় গরুটির নাম রেখেছে গরুটির মালিকের ছেলে জিহাদ খান। বিশালদেহি ওজনের এই গরুটি এরইমধ্যে ডিগবাজি মারার জন্য বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। গরুটিকে দেখার জন্য দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসছেন কৌতুহলী মানুষ।
গাজীপুর সদর মেট্রো থানার কাউলতিয়া গ্রামের প্রান্তিক এক খামারি বছর খানেক আগে ফ্রিজিয়ান জাতের এই ষাড়টি কিনে আনেন। পরে সন্তানের মতো লালন পালন করতে থাকেন ওই খামারি ও তার স্ত্রী।
গরুর মালিক মনে করেন এবার রাজধানীর গাবতলীতে কোরবানির পশুর হাট কাঁপাবেন বিশালদেহী ‘জায়েদ খান’। তিনি এখনই গরুরর মূল্য হাঁকাচ্ছেন আট লাখ টাকা। তবে নায়ক জায়েদ খান কিনতে চাইলে অনেক ছাড় দেওয়া হবে বলেও জানান গরুটির মালিক।
আক্তার হোসেনের দাবি, এখন পর্যন্ত ‘জায়েদ খান’ই গাজীপুরের সবচেয়ে বড় ষাড়। প্রতিবছরই ভিন্ন নামে ও এধরণের বিশাল দেহের গরু কোরবানির ঈদের জন্য প্রস্তুত করবেন বলেও তিনি জানান।
এমআর//