পরামর্শ

যে কৌশলগুলি মেনে চললে খাবারের অপচয় বন্ধ করা যাবে

যে কৌশলগুলি মেনে চললে খাবারের অপচয় বন্ধ করা যাবে
অনেক বাড়িতেই খাবার প্রায়ই নষ্ট হয়। রান্না করার খাবার ছাড়াও অনেক সময় প্যাকেটজাত শুকনো খাবারও ফেলা যায়। অথচ খাদ্যের অপচয় রুখতে গোটা বিশ্বে নানা পদক্ষেপ করা হচ্ছে। তাই অকারণে খাবার যাতে অপচয় না হয়, সেদিকে লক্ষ রাখা জরুরি। তার জন্য দরকার পর্যাপ্ত পরিকল্পনা। একটু পরিকল্পনামাফিক কেনাকাটা এবং রান্না করলে খাবার কম নষ্ট হবে। প্রয়োজন বুঝে কিনুন যতটা প্রয়োজন ঠিক ততটাই খাদ্যসামগ্রী কিনুন। দরকার হতে পারে ভেবে একসঙ্গে কিনে রেখে লাভ নেই। তাতে জিনিসপত্র বেশি নষ্ট হবে। অনেক সময় খাবারের মেয়াদ ফুরিয়ে শেষ হয়ে যায়। তখন ফেলে দেয়া ছা়ড়া উপায় নেই। রান্নার ক্ষেত্রেও একই নিয়ম মানতে হবে। বেশি করে রান্না করার কোনও প্রয়োজন নেই। প্রয়োজন মতো রান্না করুন। পুরনো শেষ করে, নতুনে হাত দিন মাসের শুরুতে নতুন মাসকাবারি জিনিসপত্র আসে। কিন্তু তখনও অনেক সময় পুরনো খাবারদাবার শেষ হয় না। সেগুলি আগে শেষ করে, তবেই নতুন প্যাকেট খুলুন। না হলে আগের কেনা খাবারগুলি পড়ে থেকে নষ্ট হবে। ধাপে ধাপে জিনিস কিনুন শাকসব্জি হোক কিংবা মাছ-মাংস, কিংবা প্যাকেটজাত খাবার- সব কিছুই অল্প অল্প করে কিনুন। একসঙ্গে কিনে রাখা মানেই নষ্ট হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। সেটা করবেন না। কাঁচা শাকসব্জি, মাছ-মাংস ২-৩ দিনের বেশি মজুত করে রাখবেন না। দরকার পড়লে তখন আবার কিনে আনুন। মৌসুমী খাবার খান মৌসুম অনুযায়ী বাজারের চিত্রটি বদলে যায়। নানা রকম মৌসুমী ফল এবং সবজিতে বাজার ভরে ওঠে। সঙ্গে সারা বছর পাওয়া যায়, এমন অনেক জিনিসও থাকে। আবার নানা বিদেশি ফল, সবজিও দেখা মেলে। চেষ্টা করুন মৌসুমী খাবার খাওয়ার। তাতে খানিকটা সাশ্রয়ও হবে। আবার খাবার কিনলে বেশি দিন রাখলেও নষ্ট হবে না। জেএইচ

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন কৌশলগুলি | মেনে | চললে | খাবারের | অপচয় | বন্ধ | করা