জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যার তদন্ত চেয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে গণমাধ্যমাকে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, সরকারকে একটি আলাদা কমিশন গঠন করে গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যার ঘটনাগুলো তদন্ত করার সুপারিশ করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল ব্যাচেলেট। তাদের দেওয়া বিবৃতিতে যা উঠে এসেছে সেটা আমরা দীর্ঘদিন ধরেই বলে আসছি। আমরা জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে স্বাধীন তদন্ত চাই, জড়িতদের বিচার চাই।
মানবাধিকার ইস্যুতে বিএনপি যতগুলো অভিযোগ করেছে সবকিছু রাজনৈতিক আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, তারা কি এ কথা স্বীকার করবে? ওবায়দুল কাদের বলেছেন, গুম অপহরণের বিচার করার ক্ষমতা জাতিসংঘের নেই। এ বক্তব্যে তিনি স্বীকার করে নিয়েছেন, এগুলো সংঘটিত হয়েছে। এতেই বোঝা যায় এই ঘটনাগুলো ঘটেছে। নেত্র নিউজের প্রতিবেদনে আরও বেশি প্রমাণিত হয়েছে।
বিশৃঙ্খল করলে বিএনপিকে রাজপথে মোকাবিলা করা হবে, আওয়ামী লীগের এমপি-মন্ত্রীদের এমন বক্তব্যের প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, এমন হুমকি সন্ত্রাসের শামিল।
দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে বিএনপির মন্তব্য রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, আওয়ামী লীগ নেতাদের এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এত দিন গুম-খুনের বিষয়ে বিএনপি যে কথাগুলো বলে আসছে, তারই প্রমাণ মিলেছে জাতিসংঘ মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের মন্তব্যে। এটাই দেশের বাস্তবতা।
বাংলাদেশে সংলাপের কোনো পরিবেশ নেই দাবি করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, দেশের রাজনৈতিক সংকট সমাধানে দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তি না হওয়া পর্যন্ত কোনো সংলাপ হতে পারে না। যতক্ষণ পর্যন্ত এই সরকার পদত্যাগ না করবে, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর না করবে, সংসদ বিলুপ্ত না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত সংলাপের প্রশ্নই ওঠে না।
যে বুলেট শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানাকে এতিম করেছে, খালেদা জিয়া আপনাকেও সেই বুলেট ছাড়বে না’, ওবায়দুল কাদেরের এ বক্তব্যের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মির্জা ফখরুল বলেন, এটা তো ভয়ংকর কথা, এই বুলেটের কথা যদি তিনি বলে থাকেন তাহলে আমরা সন্দেহ হয়, হয়ত তিনিও এ চক্রান্তের সঙ্গে জড়িত আছেন। খালেদা জিয়াকে তারা রাজনীতি থেকে সরিয়ে দিতে চায়। এবার জীবন থেকে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে কিনা সেই প্রশ্ন আসে। তাকে এটার অবশ্যই জবাব দিতে হবে।