চলতি অর্থবছরের তুলনায় ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে প্রতিরক্ষা খাতে বেশি বরাদ্দের প্রস্তাব রাখা হয়েছে। এ খাতে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৪২ হাজার ১৪ কোটি টাকা। বিদায়ী অর্থবছরের তুলনায় এই প্রস্তাবিত বরাদ্দ ৪ হাজার ২১২ কোটি টাকার বেশি। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে প্রতিরক্ষা খাতে বরাদ্দ ছিলো ৩৭ হাজার ৮০২ কোটি টাকা।
বৃহস্পতিবার (৬ জুন) সংসদে ২০২৪–২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট বক্তৃতায় এসব তথ্য জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।
বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী জানান, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে প্রতিরক্ষা সার্ভিসের পরিচালন ব্যয় বাবদ ৩৮ হাজার ৭৯৮ কোটি টাকা এবং উন্নয়ন ব্যয়ের জন্য ১ হাজার ২৮৪ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। আরও ১ হাজার ৮৮৬ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অন্যান্য সার্ভিসের জন্য। এছাড়া, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের
পরিচালন ব্যয় বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে ৪৬ কোটি টাকা।
জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের যে বাজেট প্রস্তাব করা হয়েছে, তাতে প্রতিরক্ষা খাতের বরাদ্দ মোট বাজেটের ৫ দশমিক ৩ শতাংশ। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের চেয়ে দশমিক ৭ শতাংশ বেশি।
অর্থমন্ত্রী তার বাজেট বক্তৃতায় আরও জানান, আওয়ামী লীগের ২০২৪ সালের নির্বাচনী ইশতেহার ‘স্মার্ট বাংলাদেশ: উন্নয়ন দৃশ্যমান, বাড়বে এবার কর্মসংস্থান’-এ বলা হয়েছে, দেশের নিরাপত্তা, সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডত্ব রক্ষায় সশস্ত্র বাহিনীর প্রতিরক্ষাসামর্থ্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক প্রণীত ‘প্রতিরক্ষা নীতিমালা–১৯৭৪–এর আলোকে ‘ফোর্সেস গোল ২০৩০’–এর প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন চলমান রয়েছে। সেই নীতিমালার ভিত্তিতে আওয়ামী লীগ সশস্ত্র বাহিনীকে সব বিতর্কের ঊর্ধ্বে রাখার যে নীতি নিয়েছিল, তা অব্যাহত রাখবে।
অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী আরও জানান, বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীকে আধুনিকায়নের লক্ষ্যে ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর ‘ফোর্সেস গোল ২০৩০’ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীকে আধুনিকায়নের লক্ষ্যে ওই কর্মসূচি ২০১৭ সালে হালনাগাদ করা হয়। মূলত বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের নৌবাহিনীর মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টির পর ফোর্সেস গোল ২০৩০ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়।
বাজেট পেশকালে তিনি বলেন, ফোর্সেস গোল ২০৩০ কর্মসূচির অন্যতম প্রাথমিক লক্ষ্য, বহুমাত্রিক যুদ্ধের জন্য বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর সক্ষমতা বাড়ানো; যাতে এই বাহিনী জলে, স্থলে ও আকাশে ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে গড়ে ওঠে। এ কর্মসূচির আরও লক্ষ্যের মধ্যে আছে সশস্ত্র বাহিনীর সংস্কার, জনবল বাড়ানো, আধুনিক সমরাস্ত্র সংগ্রহ এবং বাংলাদেশের সমরাস্ত্র উৎপাদন ও গবেষণার সামর্থ্য অর্জন।
এএম/