এ যুগে ছেলে বা মেয়ে সন্তানের মধ্যে কোন পার্থক্য করে দেখা হয় না। সামাজিকভাবে উভয়ের মর্যাদা সমান। কর্ম ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠায় কেউ কারও থেকে কম না। কিন্তু আজও জন্মের পর করুণ পরিণতি হয় কন্যা সন্তানদের। ‘অবাঞ্ছিত’ তাদের মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেন স্বয়ং জন্মদাতারাই। ফের এরকম এক ঘটনা সাক্ষী হল ভারতের রাজধানী দিল্লি। যমজ কন্যাসন্তানদের খুন করে পুঁতে দেয়ার অভিযোগ উঠল বাবা ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের বিরুদ্ধে। সোমবার অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
জানা গেছে, পূজা সোলাঙ্কি নামে এক তরুণী গেলো ৩০ মে হরিয়ানার রোহতকের একটি হাসপাতালে যমজ কন্যা সন্তানদের জন্ম দিয়েছিলেন। যা মোটেই পছন্দ হয়নি পূজার স্বামী নীরজ ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনদের। গেলো ১ জুন, হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর পূজা তার বাবা-মায়ের বাড়িতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
পুলিশ জানায়, সেসময় নীরজ এবং তার পরিবারের সদস্যরা হাসপাতালে পৌঁছে বাচ্চাদের নিয়ে যান। পূজাকে অন্য আরেকটি গাড়িতে পাঠিয়ে দেন। কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই নীরজ মাঝপথে রাস্তা পরিবর্তন করে অন্য দিকে চলে যান। এর পর পূজার ভাই নীরজের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হন। পরে পূজার বাড়ির লোকজন জানতে পারেন উত্তর দিল্লির সুলতানপুরী এলাকায় নিয়ে গিয়ে নীরজ ও তার পরিবারের লোকজন দুধের দুই শিশুকে খুন করে পুঁতে দিয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে তারা অভিযোগ দায়ের করেন পুলিশে। কিন্তু ঘটনার পরই পালিয়ে যায় অভিযুক্তরা।
পূজার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে দিল্লি পুলিশ। সাতটি দলে ভাগ হয়ে চলছে তল্লাশি। অবশেষে সোমবার নীরজের বাবাকে গ্রেপ্তার করা হলেও পলাতক নীরজ, তার মা ও কাকা। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
জেএইচ