জাতিসংঘ পুলিশের (ইউএনপিওএল) টেকসই শান্তি ও উন্নয়নের যেকোনো উদ্যোগে অবদান রাখতে আবারও অঙ্গীকার করেছে বাংলাদেশ।
বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টম্বর) নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ সদরদপ্তরের সাধারণ পরিষদে জাতিসংঘ পুলিশ প্রধানদের বৈঠকে এ অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।
মন্ত্রী বলেন, উন্নয়ন কর্মকাণ্ড অব্যাহত রেখে শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখতে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা কার্যক্রম সুসংগত দৃষ্টিভঙ্গির মাধ্যমে এগিয়ে নিতে হবে।
ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোতে সংঘাতের মূল কারণ চিহ্নিত করে সেসব দেশে মৌলিক সেবা প্রদান, অর্থনৈতিক সুযোগ সৃষ্টি এবং প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক সংস্কার বাস্তবায়নে সক্ষমতা বাড়াতে জাতিসংঘকে সহায়তা প্রদানের আহ্বান জানান তিনি। তিনি মনে করেন, জাতিসংঘ পুলিশ, জাতিসংঘের কান্ট্রি টিম ও সংস্থা এবং জাতীয় কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্টদের মধ্যে সমন্বিত ব্যবস্থাপনা প্রয়োজন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিরাপত্তা খাত সংস্কারে জাতিসংঘ পুলিশিং এর ভূমিকা এবং ম্যান্ডেট অনুযায়ী আইনের শাসন জোরদার ও বিশেষায়িত পুলিশ টিমের (এসপিটি) গুরুত্ব তুলে ধরেন।
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষায় মাঠ পর্যায়ে আরও বেশি নারী পুলিশ মোতায়েন এবং সিনিয়র পদে নারী পুলিশ কর্মকর্তা বাড়ানোর প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এ লক্ষ্যকে সফল করতে দক্ষ নারী পুলিশ অফিসার এবং সুসজ্জিত পুলিশ ইউনিটগুলোতে অবদান রাখতে বাংলাদেশ পুলিশের প্রস্তুতির কথা জানান তিনি।
শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে পরিবেশগত ঝুঁকি কমাতে নবায়নযোগ্য শক্তি এবং প্রাকৃতিক আঁশভিত্তিক পণ্য ব্যবহারের ওপর জোর দেন। তিনি বলেন, শান্তিরক্ষী মোতায়েনকৃত দেশগুলোতে এসব পদক্ষেপ টেকসই উন্নয়নের জন্য ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।
আসাদুজ্জামান খান জানান, বাংলাদেশ ইতালির সঙ্গে এমন একটি গ্রুপ অব ফ্রেন্ডসের নেতৃত্ব দেয়, যে গ্রুপটি জাতিসংঘের পরিবেশগত কৌশল বাস্তবায়ন করে পরিবেশগত নেতিবাচক দিক হ্রাস করার পক্ষে কাজ করছে।
পুলিশ প্রধানদের সম্মলেন উপলক্ষে আয়োজিত ওই বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ আবদুল মুহিত এবং বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ।
এসি
