নাটোরে খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সুচিকিৎসার দাবিতে আয়োজিত সমাবেশে হামলা ও জেলা বিএনপি আহ্বায়ক শহিদুল ইসলামকে কুপিয়ে জখমের ঘটনায় দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গেলো ৩ জুলাই এ হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মোসাদ্দেক হোসেনসহ বিএনপির ৭ নেতাকর্মী আহত হন।
শনিবার ( ৬ জুলাই ) নাটোর সদর থানায় শহিদুলের স্ত্রী সুলতানা পারভীনের দায়েরকৃত মামলার প্রেক্ষিতে ওই দুই আসামীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান।
মিজানুর রহমান জানান,ঘটনার তিনদিন পর আজ আহত বিএনপি নেতার স্ত্রী ৬৬ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। এতে নাটোর সদর আসনের সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলামের ভাতিজা রাশিদুল ইসলামকে প্রধান আসামি করা হয়। মামলা দায়েরের পর রাসু (২৫) ও সবুজ (২৫) নামের দুই তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মামলার অন্য আসামীদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশের অভিযান চলছে।
জেলা বিএনপির সদস্যসচিব রহিম নেওয়াজ বলেন, গেলো ৩ তারিখ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শহিদুল একটি সিএনজি চালিত অটোরিকশায় করে সমাবেশে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন। নাটোর সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের পৌঁছালে, সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলামের অনুসারীরা তার পথ ঠেকিয়ে দেয়। পরে চাইনিজ কুড়াল দিয়ে তাকে এলোপাতাড়িভাবে কোপান হয়। এতে তার ডান হাতের কবজি প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। এছাড়া শরীরের বিভিন্ন জায়গা মারাত্মকভাবে জখম হন তিনি । বর্তমানে তিনি শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন।
মামলার বাদী সুলতানা পারভীন বলেন, তাঁর স্বামী দলের জনপ্রিয় নেতা। তাঁর ওপর সন্ত্রাসী হামলা ও প্রাণনাশের চেষ্টা গণতন্ত্রের পরিপন্থী। তিনি আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে শাস্তির দাবি জানান।
আই/এ