আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

আস্থা হারিয়ে সরকার নির্বাচনে ইভিএম চায় : জিএম কাদের

আস্থা হারিয়ে সরকার নির্বাচনে ইভিএম চায় : জিএম কাদের

ইভিএম হচ্ছে শান্তিপূর্ণ কারচুপির মেশিন। সরকার নিজের ওপর আস্থা হারিয়ে স্বাভাবিক নির্বাচন চায় না। সরকার ও তাদের কিছু মিত্র ছাড়া আর সব দলই নির্বাচনে ইভিএম চায় না। কিন্তু নির্বাচন কমিশন হঠাৎ করেই ইভিএম-এ নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বললেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের। 

আজ রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বনানী জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের কার্যালয় মিলনায়তনে জাতীয় মেডিকেল টেকনোলজিস্ট পরিষদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি।

জাপা চেয়ারম্যান বলেন, নির্বাচন কমিশন বলেছে সব দল চাইলে ব্যালটে নির্বাচন হবে। আসলে নির্বাচন কমিশনের বলা উচিত ছিলো সবাই চাইলে ইভিএম-এ নির্বাচন করা হবে। কারণ, ব্যালট পেপারে নির্বাচন বিদ্যমান এবং সবার কাছে গ্রহণযোগ্য।

জি এম কাদের বলেন, ভোটকেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হবে কিন্তু উদ্দেশ্য ভালো না হলে কোনো কিছুই ভালো হবে না। নির্বাচন কমিশনের সৎ উদ্দেশ্যে কাজ করতে হবে। 

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, দেশের মানুষ ভালো নেই । অর্থনৈতিক সমস্যায় সীমাহীন কষ্টে আছে সাধারণ মানুষ। বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলসহ বিভিন্ন পণ্যের দাম কমতে শুরু করেছে। আমাদের দেশেও জ্বালানি তেলের দাম কমানো উচিত। আবার জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার কারণে যেসব পণ্যের দাম বেড়েছে সেগুলো যেনো কমানো হয়, সেজন্য সরকারকে উদ্যোগ নিতে হবে। 

জিএম কাদের বলেন, মহামারি করোনা ও বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটের কারণে অনেকেই চাকরি হারিয়েছেন। অনেকের ব্যবসা বন্ধ হয়ে গেছে। অনেকের বেতন কমানো হয়েছে। এমন বাস্তবতায় প্রতিদিন নিত্যপণ্যের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ার কারণে সাধারণ মানুষ হিমশিম অবস্থায় দিনাতিপাত করছে। 

জাপা চেয়ারম্যান বলেন, বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক সংকটে অনেক দেশই সাধারণ মানুষের জন্য কল্যাণমুখী অনেক কর্মসূচি গ্রহণ করে মানুষের সেবা করেছে। মানুষের কষ্ট দূর করতে অনেকভাবেই সাহায্য করেছে বিভিন্ন দেশের সরকার। কিন্তু এমন বাস্তবতায় মানুষের কল্যাণে আমাদের সরকারের কোনো উদ্যোগ চোখে পড়ে না। 

তিনি আরও বলেন, বাজেটে যেটুকু বরাদ্দ দেয়া হয় তাও দুর্নীতির কারণে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে না। মানুষ বাঁচিয়ে রাখার জন্য প্রয়োজন হলে মেগা প্রকল্প বন্ধ রাখা উচিত। রাষ্ট্র, সরকার ও সরকারি দল এখন এক করে ফেলা হয়েছে। দেশ ও মানুষের কল্যাণে আমরা সরকারের সমালোচনা করবো, এটা আমাদের কর্তব্য। তাই সরকারের সমালোচনা করলে, রাষ্ট্রবিরোধী মনে করা হয়। অনেক ক্ষেত্রে রাষ্ট্র বিরোধী মামলা দেয়া হয়।

তিনি বলেন, নির্বাচন অবাধ ও গ্রহণযোগ্য না হলে সংঘাত আরও বাড়বে। কারণ আগামী নির্বাচন হবে অস্তিত্বের লড়াই। দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতি এমন একটি জায়গায় নেয়া হয়েছে, সবাই প্রতিপক্ষকে শত্রু মনে করছে। সবাই মনে করছে পরাজিত হলে তাকে হত্যা করা হবে, যে পরাজিত হবে সে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। আসলে এমন রাজনৈতিক সংস্কৃতি আমরা চাই না। 

বিপ্লব আহসান 

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন আস্থা | হারিয়ে | সরকার | নির্বাচনে | ইভিএম | চায় | | জিএম | কাদের