সাবেক উপপ্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মোয়াজ্জেম হোসেনের তিনটি জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর এই বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদকে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে।
বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাতে গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানায় বিএনপি।
দলটি জানায়, শাহ মোয়াজ্জেম হোসেনের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে আজ (বৃহস্পতিবার) বেলা ১১টায়, নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে।
এরপর তার মরদেহ নিজ এলাকা মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগরে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে বাদ জোহর উপজেলা স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। সেখান থেকে এই নেতার মরদেহ ঢাকায় আনা হবে এবং বাদ এশা গুলশানের আজাদ মসজিদে তৃতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। সবশেষে তাকে বনানী কবরস্থানে সমাহিত করা হবে।
বুধবার রাত সাড়ে ৯টায় গুলশানের নিজ বাসভবনে মারা যান শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর।
শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন ১৯৩৯ সালের ১০ জানুয়ারি মুন্সীগঞ্জ জেলার দোগাছি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছয় দফা আন্দোলন, ভাষা আন্দোলন এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণসহ তৎকালীন সব রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন।
১৯৭৩ সালের প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে তৎকালীন ঢাকা-৫ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকারের হুইপ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি খন্দকার মোশতাক আহমেদের মন্ত্রিসভার একজন সদস্য ছিলেন। এরপর তিনি হুসেইন মুহাম্মাদ এরশাদের নেতৃত্বে জাতীয় পার্টিতে যোগদান করেন। কিন্তু তাকে ১৯৯২ সালে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। তারপর তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলে যোগ দেন। তিনি দলটির ভাইস চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছেন।
মৃত্যুকালে শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন এক ছেলে ও এক মেয়ে, নাতি-নাতনিসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তার স্ত্রী ২০০৯ সালে ইন্তেকাল করেছেন।