কোটা সংস্কার আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষের পর পুলিশ সদস্যরা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ছেড়ে চলে গেছেন। বুধবার (১৭ জুলাই) রাত সাড়ে ৮টার দিকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পুলিশ সদস্যরা ফিরে যায়। সাভার মডেল থানার পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) নয়ন কারকুন বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
নয়ন কারকুন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘বুধবার বিকেলে শিক্ষার্থীরা উত্তেজিত হয়ে আন্দোলন চালাচ্ছিলেন। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য পুলিশ সদস্যরা চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে উত্তেজিত শিক্ষার্থীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুঁড়তে থাকে। তখন পুলিশ টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে ক্যাম্পাসের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে এবং ক্যাম্পাস থেকে পুলিশ সদস্যরা ফিরে এসেছেন।’
স্থানীয় ও থানা সূত্র জানায়, বুধবার দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের এক জরুরি সিন্ডিকেট সভা শেষে শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। এজন্য বুধবার বিকেল ৪টা পর্যন্ত সময় বেঁধে দেওয়া হয়।
তবে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ওই নির্দেশ প্রত্যাখ্যান করে প্রশাসনিক ভবন অবরোধ করে। এত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নূরুল আলমসহ অন্যান্য সিন্ডিকেট সদস্যরা অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন।
বিকেল সোয়া ৫টার দিকে শিক্ষার্থী ও পুলিশের মধ্যে বাগবিতণ্ডা শুরু হয়। এসময় পুলিশ তাদের লক্ষ্য করে টিয়ারশেল, রাবার বুলেট ও ছররা গুলি নিক্ষেপ শুরু করে বলে আন্দোলনকারীরা অভিযোগ করেন। এতে এক পর্যায়ে আন্দোলনকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ে। তবে কিছুক্ষণ পরই শিক্ষার্থীরা সংঘবদ্ধ হয়ে দফায় দফায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করলে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে পুলিশ, সাংবাদিক ও শিক্ষার্থীসহ অর্ধশতাধিক আহত হন বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
এমআর//