আর্কাইভ থেকে ক্রিকেট

ক্যাচ মিসের মাশুল দিলো সিরিজ হেরে

ক্যাচ মিসের মাশুল দিলো সিরিজ হেরে

একে একে চারটি ক্যাচ মিসের মাশুল গুনলো সিরিজ হেরে। প্রথম ওয়ানডেতে যাচ্ছেতাই খেলে পরাজয়ের পর দ্বিতীয়টিতে লড়াই আভাস মিলেছিল টাইগারদের ব্যাটে। কিন্তু নিউজিল্যান্ডের ইনিংসের মাঝপথে এসে ক্যাচ মিস ও ফিল্ডিং মিসের মহড়ায় ম্যাচটি ৫ উইকেটে হারতে হয়েছে টাইগারদের। 

তিন ম্যাচের ওয়াডে সিরিজ নিজেদের করে নিতে দ্বিতীয় ওয়ানডে জয়ের জন্য ২৭২ রানের টার্গেট পায় নিউজিল্যান্ড। কিন্তু ৫ম ওভারের শেষ বলে নিজের বলে নিজে ক্যাচ নিয়ে ২৪ বলে ২০ রান করা গাপটিলকে ফেরান মুস্তাফিজ। এরপর কনওয়েকে নিয়ে এগুতে থাকা নিকোলসকে ৪৩ রানে মেহেদী হাসানে বোল্ড করে ফেরান। দলীয় ৫৩ রানে নিজের দ্বিতীয় ও দলের তৃতীয় শিকার হিসেবে ইয়ংকে বোল্ড করে ফেরান মেহেদী। চতুর্থ উইকেটে ডেভন কনওয়ে-টম ল্যাথাম ১১৩ রানের জুটি বাংলাদেশের মাথাব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল।

কিন্তু দলীয় ১৬৬ রানে টাইগার অধিনায়কের ডাইরেক্ট থ্রোতে কনওয়ে রানআউটের শিকার হলে টাইগার শিবিরে স্বস্তি ফিরে। অবশ্য তার আগে কনওয়ে ৯৩ বলে ৭ চারের সাহায্যে ৭২ রান করেন। কনওয়ের বিদায়ের পর টাইগাররা একে একে চারটি ক্যাচ ছাড়েন। যেখানে সেঞ্চুরিয়ান ল্যাথাম ও নিশামের ক্যাচ ছিল। 

ল্যাথাম-নিশাম জুটি পঞ্চম উইকেটে গুরুত্বপূর্ণ ৭৬ রানের জুটি গড়লে ম্যাচ জয় কিউইদের হাতের নাগালে চলে আসে। দলীয় ২৪২ রানে মুস্তাফিজের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হওয়ার আগে ৩৪ বলে ২ চারের সাহায্যে ৩০ রান করেন নিশাম। ৬ষ্ঠ উইকেটে ড্যারেল মিচেল নেমে দ্রুত গতিতে ৬ বলে ২ চারের সাহায্যে ১২ রান করেন। সেঞ্চুরিয়ান টম ল্যাথাম ১০৮ বলে ১০ চারের সাহায্যে ১১০ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন।

বাংলাদেশের হয়ে মুস্তাফিজ ও মেহেদী হাসান ২টি করে উইকেট লাভ করেন। অন্যটি রান আউট হয়।

এর আগে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই কোন রান না করে ফিরে যান ওপেনার লিটন দাস। দ্বিতীয় উইকেটে সৌম্যকে নিয়ে ৮১ রানের জুটি গড়ে দলকে বিপদমুক্ত করেন অধিনায়ক তামিম ইকবাল। দলীয় ৮৫ রানের সময় মিচেল স্যান্টনারকে ক্রিজ থেকে বের হয়ে উড়িয়ে মারতে গিয়ে স্ট্যাম্পিংয়ের ফাঁদে পড়েন সৌম্য সরকার। সৌম্যর বিদায়ের পর মুশফিককে সাথে নিয়ে আরও ৪৮ রান যোগ করেন তামিম। সেই সঙ্গে তুলে নেন ওয়ানডেতে নিজের ৫০তম ফিফটি। সেঞ্চুরির আশা জাগিয়েও জেমস নিশামের বুদ্ধিদীপ্ত ফিল্ডিংয়ে রান আউটে কাটা পড়েন টাইগার অধিনায়ক। আউটের আগে ১০৮ বলে ১১ চারে ৭৮ রানের ইনিংস খেলেন তামিম। তখন দলীয় স্কোর ১৩৩ রান।

৪র্থ উইকেটে মুশফিক নিজেকে কিছুটা গুটিয়ে রাখলেও শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিলেন মোহাম্মদ মিথুন। ৫৯ বলে ৩ চারে ৩৪ রান করে আউট হন মুশফিকুর রহিম আউট হলেও মোহাম্মদ মিথুন তুলে নেন ওয়ানডেতে ষষ্ঠ ফিফটি। মাহমুদুল্লাহ রিয়াদকে সাথে নিয়ে ৬৩ রানের জুটি গড়ে দলকে আড়াইশো পার করেন মিথুন। শেষ পর্যন্ত মোহাম্মদ মিথুন ৫৭ বলে ৬ চার ও ৩ ছক্কায় ৭৩ রানের অপরাজিত থেকে বাংলাদেশ সংগ্রহ নির্ধারিত ৫০ ওভারে ২৭১ রানে টেনে নিয়ে যান। 

নিউজিল্যান্ডের হয়ে মিচেল স্যান্টনার ২, ট্রেন্ট বোল্ট, ম্যাট হেনরি ও কাইল জেমিসন নেন ১টি করে উইকেট নেন।

এএ

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন ক্যাচ | মিসের | মাশুল | দিলো | সিরিজ | হেরে