কোটা আন্দোলন ঘিরে সহিংসতায় সরকার নিজেদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও ব্যর্থতা আড়াল করতে বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর নেতাকর্মী এবং সাধারণ মানুষকে নির্বিচারে গ্রেপ্তার করে যাচ্ছে। সহিংসতার ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃতদের গুম করে রেখে নির্যাতন চালিয়ে তিন থেকে চার কিংবা পাঁচ দিন পর আদালতে হাজির করা হচ্ছে। বলেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শুক্রবার (২৬ জুলাই) দুপুরে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ অভিযোগ করেন।
ফখরুল বলেন, কোটা আন্দোলন ঘিরে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের তিন হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যা জাতির জন্য অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক ও লজ্জার।
তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের ওপর যৌথভাবে হামলা চালিয়ে দেশ-বিদেশের সকল স্বৈরাচারের নির্মম নিষ্ঠুরতাকেও হার মানিয়েছে। নিজেদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও ব্যর্থতা আড়াল করতে নির্বিচারে গ্রেপ্তার করছে সরকার। দেশব্যাপী বিরোধীদলের নেতাকর্মী বাড়ি বাড়ি তল্লাশি হচ্ছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, দেশের নাগরিকদের গুম করে রাখার ভয়াবহ সংস্কৃতি চালু রেখে মানুষের মনে ভীতি সঞ্চার করা হচ্ছে। সরকারকে এ ধরণের লোমহর্ষক কর্মকাণ্ড পরিহারের আহ্বান জানাচ্ছি।
মির্জা ফখরুল বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনে ছাত্র-ছাত্রীরা যখন যৌক্তিক দাবি নিয়ে আন্দোলনরত, সেই মুহূর্তে সরকারপ্রধানসহ সরকারি দলের নেতা-মন্ত্রীরা তাদের তাচ্ছিল্য করে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের নির্দেশ দেয় তাদেরকে নির্মূল করার। সরকারি দলের সন্ত্রাসী এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা যৌথভাবে শত শত নিরীহ ছাত্র-ছাত্রীকে গণহারে হত্যা এবং হাজার হাজার ছাত্র-ছাত্রীকে আহত করেছে।
তিনি বলেন, কী পরিমাণ মানুষ হত্যা, পঙ্গু, গোলাবারুদ, টিয়ারসেল, সাউন্ড গ্রেনেড শিক্ষার্থীদের ওপর ব্যবহার করা হয়েছে তার হিসাব জনগণ জানতে চায়। রাষ্ট্রের টাকায় কেনা হেলিকপ্টার দিয়ে মানুষ হত্যার জবাব জনগণ একদিন কড়ায়-গন্ডায় আদায় করে নেবে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, যে সরকার ক্ষমতায় থাকার জন্য মানুষকে হত্যা করতে পারে এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদ ও স্থাপনার নিরাপত্তা দিতে পারে না সেই সরকারের ক্ষমতায় থাকার কোনো নৈতিক অধিকার নেই।
বিবৃতিতে গ্রেপ্তারকৃত বিএনপির সকল নেতার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার এবং সবার নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানান মির্জা ফখরুল।
এএম/