কোটা সংস্কার দাবির আন্দোলন ঘিরে ছড়িয়ে পড়া সহিংসতায় নিহত ব্যক্তিদের স্মরণে আজ মঙ্গলবার সারা দেশে শোক পালন করা হচ্ছে। গতকাল সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনির্ধারিত আলোচনায় রাষ্ট্রীয় শোক পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। পরে বিকালে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন।
তিনি বলেন, ‘বৈঠকে কোটা আন্দোলন নিয়ে যে পরিস্থিতি হয়েছিল, সে বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান একটি প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন। পরে এ নিয়ে আলোচনা হয়। সেই আলোচনার ভিত্তিতে শোকপ্রস্তাব গ্রহণ করা হয় এবং মঙ্গলবার দেশব্যাপী শোক পালনের সিদ্ধান্ত হয়। ‘
শোক পালনের অংশ হিসেবে কালো ব্যাজ ধারণ করা হবে। আর নিহত ব্যক্তিদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে সব মসজিদে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়া মন্দির, গির্জা, প্যাগোডাসহ সব ধর্মীয় উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হবে।
সরকারি প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, কোটাবিরোধী আন্দোলনের নামে সংঘটিত সহিংসতা, নাশকতা, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে হতাহতের ঘটনায় নিহত ব্যক্তিদের স্মরণে ৩০ জুলাই সারা দেশে শোক পালন করা হবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান গত রোববার বলেছিলেন, সাম্প্রতিক সহিংসতায় এখন পর্যন্ত ১৪৭ জনের মৃত্যুর সংবাদ তাঁদের হিসাবে রয়েছে। পরবর্তীতে এই সংখ্যা ১৫০ বলে উল্লেক করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন।
প্রসঙ্গত, সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে গড়ে ওঠা শিক্ষার্থীদের প্ল্যাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের হিসাব অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত ২৬৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আবদুল হান্নান গত ২৭ জুলাই রাতে সাংবাদিকদের কাছে নিহত ব্যক্তিদের একটি তালিকা পাঠান। তবে ওই তালিকায় ৬৬ জনের পরিচয় উল্লেখ করা হয়নি।
এমআর//