দেশজুড়ে

টানা বৃষ্টিতে কক্সবাজারে পানিবন্দি ২ লাখ মানুষ

টানা বৃষ্টিতে কক্সবাজারে পানিবন্দি ২ লাখ মানুষ
কক্সবাজারে ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে আকস্মিক বন্যা দেখা দিয়েছে। গেলো সোমবার থেকে শুরু হওয়া এ  বৃষ্টিতে জেলার ৯ উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নে ২ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। গেলো ২ দিন কক্সবাজারে ২৭০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা আবহাওয়া অফিস। বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট)  কক্সবাজার আবহাওয়ার কার্যালয়ের সহকারী আবহাওয়াবিদ আবদুল হান্নান বায়ান্ন টিভিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। কক্সবাজার আবহাওয়া অফিস জানায়, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের ফলে কক্সবাজার অঞ্চলে বৈরী আবহাওয়া সৃষ্টি হয়েছে। আগামী তিনদিনও ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এতে পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধসের আশঙ্কা আছে। এদিকে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় পৌরসভার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার পাশাপাশি জলাবদ্ধতা দেখা যায় শহরের প্রধান সড়কগুলোতে। কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মাহবুবুর রহমান বলেন, ইতোমধ্যে কক্সবাজার পৌরসভার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার পাশাপাশি জলাবদ্ধতা দেখা গেছে শহরের গুরুত্বপূর্ণ প্রধান সড়কে।  শহরের হলিডে মোড় এলাকা, টেকপাড়া, চাউল বাজার সড়ক, হাঙরপাড়া, গোলদিঘির পাড়, বৌদ্ধমন্দির এলাকা, পাহাড়তলী, কলাতলী, সদর ইউনিয়নের ঝিলংজাসহ ২০টির বেশি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। কক্সবাজার শহরের বিভিন্ন সড়ক, উপসড়ক প্লাবিত হয়ে একপর্যায়ে অনেকের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাসাবাড়িতেও ঢুকে পড়ে পানি। এতে অনেক বাড়িঘরের আসবাবপত্র ও দোকানের মালামাল নষ্ট হচ্ছে। কক্সবাজার-টেকনাফ মহাসড়কের চেইন্দা এলাকা দিয়ে হাঁটু পরিমাণ বন্যার পানিতে ডুবে গেছে। এতে করে যানবাহন চলাচল ব্যহত হচ্ছে। এছাড়া চকরিয়া মানিকপুর সড়ক, রামু নাইক্ষ্যংছড়ি সড়কসহ জেলার বেশ কয়েকটি আঞ্চলিক সড়কে বন্যার পানি উপচে পড়ায় যানবাহন চলাচল ব্যহত হচ্ছে। পাহাড়ি ঢলের তোড়ে মাতামুহুরী ও বাকখালী নদীর কমপক্ষে ১০টি পয়েন্টে বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে গেছে। ভাঙন দিয়ে লোকালয়ে ঢলের পানি ঢুকে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। মাতামুহুরি নদীর দুপারের পাঁচটি ইউনিয়নে পাহাড়ি ঢলের পানি ঢুকে পড়ে কয়েক হাজার বাড়ি ঘর প্লাবিত হয়েছে। স্থানীয়রা জানায়, বাকখালী নদীর তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দারা চরম ভোগান্তিতে রয়েছেন। বাকখালী নদীর তীরবর্তী রামু ও সদর উপজেলার পাঁচ ইউনিয়নের ৫০ হাজার বাসিন্দা হঠাৎ করে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান জানান, কক্সাজারের উখিয়া, টেকনাফ ও শহরের কিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করা যাচ্ছে না। তবে পানিবন্দি মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে স্ব স্ব ইউএনও ও জনপ্রতিনিধিদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। আই/এ

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন টানা | বৃষ্টিতে | কক্সবাজারে | পানিবন্দি | ২ | লাখ | মানুষ