আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সংহতি জানাতে শহীদ মিনারে এসেছেন সংগীতশিল্পীরা। এর আগে ধানমন্ডির রবীন্দ্র সরোবরে একত্রিত হন সংগীতশিল্পীরা।
শনিবার (৩ আগস্ট) বিকেল ৩টার পর সংগীতশিল্পী ও সংগীত অনুরাগীরা রবীন্দ্র সরোবরে একত্রিত হয়ে র্যালি করে শহীদ মিনারের উদ্দেশে যাত্রা করেন।
চলমান বৈষম্যবিরোধী কোটা আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা ও হত্যার প্রতিবাদে বিকেল ৩টায় রবীন্দ্র সরোবরে এ সংহতি সম্মিলনের আয়োজনের কথা ছিল। তবে সংহতি জানানোর স্থান পরিবর্তন হয়ে নতুন স্থান শহীদ মিনার নির্ধারণ করা হয়।
আজ দুপুরে সোনার বাংলা সার্কাস ব্যান্ডের ভোকালিস্ট প্রবর রিপন ফেসবুকে লিখেন, ‘রবীন্দ্র সরোবরে আমাদের ‘গেট আপ স্ট্যান্ড আপ’ দুদিন আগে নির্ধারিত কর্মসূচি, সবাইকে এখানে আসার কথা জানানোর পর আমরা জেনেছি শিক্ষার্থীদের শহীদ মিনারের কর্মসূচির কথা। আমরা এখন ৩টায় রবীন্দ্র সরোবরে সবাই জড়ো হয়ে শহীদ মিনারে গিয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি জানাবো। এ বিষয়ে বিভ্রান্তি না ছড়ানোর জন্য অনুরোধ করছি। শিক্ষার্থীদের পাশে আমরা আছি।
সংগীতশিল্পী আহমেদ হাসান সানী তার ফেসবুকে লিখেছেন, ‘দেখা হবে শহীদ মিনারে। আসেন সবাই।’
সংস্কৃতিকর্মী এরশাদুল হক টিংকু ফেসবুকে লিখেছিলেন, ‘ভবিষ্যৎ প্রজন্মের স্বার্থে আমরা সংগীতশিল্পীরা একত্র হয়ে সুরের সঙ্গে আমাদের সংহতি প্রকাশ করতে যাচ্ছি। গানের মাধ্যমে আমরা শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে আমাদের সমর্থন দেব। যারা ঢাকার বাইরে আছেন, তারা নিজ নিজ জেলার উপযুক্ত স্থানে দাঁড়িয়ে সংহতি প্রকাশ করবেন।’
এরশাদুল হক আরও লিখেছিলেন, ‘আমাদের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এই সংহতি হোক শান্তিপূর্ণ এবং গানে গানে। আমরা বাংলা গানের সেই সব লাইন দিয়ে ব্যানার ও ফেস্টুন তৈরি করছি, যা বিভিন্ন সময় আন্দোলন ও প্রতিবাদে মানুষের মুখে মুখে ছিল। আমরা সবাই একসঙ্গে এই গানগুলো গাইবো, এভাবেই আমরা আমাদের প্রতিবাদ জানাবো। আমাদের সব মিউজিশিয়ানদের উপস্থিতি এখানে মুখ্য। আমরা সবাই একসঙ্গে দাঁড়ালে শিক্ষার্থীরা অনুপ্রাণিত হবে এবং শক্তি অনুভব করবে।’
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) সকালে ঢাকার ফার্মগেট এলাকায় অবস্থান নিয়েছিলেন চলচ্চিত্র, আলোকচিত্র, থিয়েটার, গণমাধ্যমসহ দৃশ্যমাধ্যমের বিভিন্ন শাখার শিল্পী ও কর্মীরা। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবির সঙ্গে একাত্মতা জানিয়ে স্লোগান দেন বিক্ষুব্ধ শিল্পীরা।
জেডএস/