কোটা সংস্কার আন্দোলনে শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষের হত্যার বিষয়ে সরকার চায় জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন নিরপেক্ষ তদন্ত করুক। এবিষয়ে সরকার সব ধরণের সহায়তা করবে বলে জানিয়েছেন, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা এম তৌহিদ হোসেন।
বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি, রাশিয়া ও জাপানের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ কথা বলেন তিনি।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, জাতিসংঘকে সহায়তা করাটাই মূল বিষয়। যাদের শাস্তি পাওয়ার কথা তাদের যেন শাস্তির মুখোমুখি করা যায়। বর্তমান সরকারের অবস্থান খুবই পরিষ্কার। যারা এই অপরাধগুলো করেছে এবং যারা হুকুম দিয়েছে তাদেরকে অবশ্যই বিচারের সম্মুখীন করতে হবে। সে ব্যাপারে জাতিসংঘ সহায়তা করুক সে বিষয়ে সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্ত আছে। সিদ্ধান্ত হয়েছে যে জাতিসংঘকে যুক্ত করা হবে। বাকি বিষয়গুলো তিন মন্ত্রণালয় মিলে ঠিক করে নেবে।
তিনি বলেন, জাতিসংঘ স্বাধীনভাবেই তদন্ত করুক। কিন্তু তারা যদি তদন্ত করতে যান তাদের নিরাপত্তার বিষয়টিও তো দেখতে হবে। কাজেই স্বাধীন যতই হোক না কেন সরকারের ওপর নির্ভর তো থাকতেই হবে। এই সরকারও চায় একটি স্বচ্ছ তদন্ত হোক। তার ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা হোক।
এম তৌহিদ হোসেন বলেন, অবস্থাটা এমন যেকোনো কিছু করতে গেলে একটা সমালোচনা আসতে পারে। সেজন্য সরকার চাইবে, এটা সম্পূর্ণ নিরপেক্ষভাবে হোক এবং এতে যা যা সহায়তা করা লাগবে সেটা সরকার করবে।
আই/এ